*গোদাগাড়ীতে ২০ গ্রাম হেরোইন সহ ১ জন মহিলা আটক* গোদাগাড়ীতে ৩১৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১জন ধৃত* রিভিউ খারিজ, প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলল* গোদাগাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণিকা-২০১৫ মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্বাচিত মেয়রদের সংবর্ধনা প্রদান*"

বরেন্দ্রাঞ্চল

বোরো মৌসুমে খরা প্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে হাজার হাজার হেক্টর জমি এখনো অনাবাদী
রিমন রহমান, প্রেমতুলী থেকে:  বোরো ধানের চারার তীব্র সংকট এবং দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী তৈলসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিতে বোরো মৌসুমে রাজশাহীর গোদাগাড়ীসহ সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চলে হাজার হাজার হেক্টর জমি এখনো অনাবাদী। বিভিন্ন উৎপাদন খরচের উর্দ্ধগতিতে কৃষকরা এবার ধান চাষের বিকল্প হিসেবে খরা সহিষ্ণু রবি শস্যর চাষাবাদ করেছেন। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলে গত মৌসুমের তুলনায় কমে এসেছে বোরো চাষের লমাত্রা। তবে সরেজমিন ঘুরে ও বিশেষজ্ঞদের অভিমত অনুযায়ী  হ্রাসকৃত লমাত্রাটাও অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে গোদাগাড়ীতে। উপজেলা কৃষি অফিসার ড. এম সাইফুল আলম এবিনিউজকে জানান, গত মৌসুমে গোদাগাড়ীতে বোরো চাষের ল্যমাত্রা ১৮২৫০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চলতি মৌসুমে সার, ডিজেল, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লমাত্রা কমিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৮ হাজার হেক্টরে নামিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা এবার ধান চাষ বাদ দিয়ে গম, ডালবীজ, তৈলবীজ ও আলুসহ বিভিন্ন রবি শস্যর দিকে ঝুকে পড়ায় লমাত্রা থেকে আরো ৩৫০০ হেক্টর জমি বাদ দেয়া হয়েছে।
এদিকে উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাত্র বছর খানেক আগেও গোদাগাড়ীতে গভীর নলকুপে সেচ খরচ ঘন্টাপ্রতি ৭৫ টাকা থাকলেও এখন তা ১১০-১২০ টাকা। ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম বাড়ার পাশাপাশি গোদাগাড়ীতে গত এক বছরে সেচ খরচ ৭৫ টাকা থকে ১২০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এদিকে খরা প্রবণ গোদাগাড়ী উপজেলায় এমনিতেই সেচ খরচ বেশি হয়ে থাকে। তার উপরে সেচ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। পাশাপাশি বিভিন্ন সার ও কীটনাশকের মূল্য ও শ্রমিকের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষ থেকে দুরে সরছেন কৃষকরা। উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইউরিয়া সার কেজি প্রতি ২০-২২ টাকা, ডিএপি ২৬-৩০ টাকা, পটাশ ১৫-১৭ টাকা, জিপসাম ৮-৯ টাকা (খোলা) এবং প্যাকেটজাত ৩৫ টাকা হিসেবে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া গত মৌসুমে ফোরাডাম নামক কীটনাশক ১৩০-১৪০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হতে দেখা গেলেও বর্তমানে এটির বাজারদর ১৮০ টাকা। কৃষি উপকরণের এমন উর্দ্ধগতি হলেও সেই তুলনায় উৎপাদিত ধানের মূল্য বৃদ্ধি না হওয়ায় ক্রমাগত তির সম্মুখীন কৃষক এবার ধান চাষ থেকে সরে এসেছেন। অনেক কৃষকেরই আবার ধান চাষের ইচ্ছে থাকলেও তীব্র শীতের ঘনকুয়াশায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চারা সংকটে তা আর হয়ে উঠছেনা। ফলে চলতি মৌসুমে হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী পড়ে থাকছে গোদাগাড়ীর বরেন্দ্র অঞ্চলে।

No comments:

Post a Comment