*গোদাগাড়ীতে ২০ গ্রাম হেরোইন সহ ১ জন মহিলা আটক* গোদাগাড়ীতে ৩১৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১জন ধৃত* রিভিউ খারিজ, প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলল* গোদাগাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণিকা-২০১৫ মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্বাচিত মেয়রদের সংবর্ধনা প্রদান*"

সারা দেশ


প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু- কালকের বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা ৩০ নভেম্বর

শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের কারণে আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠেয় প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে ৩০ নভেম্বর। আজ রোববার সকালে এক বৈঠকে আগামীকালের পরীক্ষা স্থগিত করে নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
আগামীকাল প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে বাংলা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ বেলা ১১টায় শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা।
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা গেল, হরতালে পরীক্ষা হবে কি হবে না তা নিয়ে অভিভাবকেরা আলোচনা করছেন। আফরিনা বেগম নামে একজন অভিভাবক বলেন, হরতালে পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। কারণ, পরীক্ষা পেছালে বাচ্চাদের প্রস্তুতি নষ্ট হয়ে যায়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবে, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ২৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩ জন। আর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫১ জন।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে কাল সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ গত শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে ওই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। একই সময়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী আরেক অপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

 

‘প্রাথমিক সমাপনী থাকবে কি না ভেবে দেখা হবে’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা যখন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হয়ে যাবে তখন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থাকবে কি থাকবে না, তা ভেবে দেখা হবে।
আজ রোববার রাজধানীর মতিঝিলে আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে পরীক্ষার হলে যাননি মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার স্তর যখন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হবে তখন দুটি (প্রাথমিক-ইবতেদায়ি সমাপনী ও জেএসসি-জেডিসি) পরীক্ষা না রেখে একটি রাখা যায় কি না, তা ভাবা হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হওয়ার কথা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। তবে কোনো দুষ্টু লোক যদি কোনো ছোটখাটো ঝামেলা পাকিয়ে ফেলে সেটা মনে করে পরীক্ষা একদিন পেছানো হয়েছে। তিনি জানান, জামায়াত হরতাল ডাকায় কাল সোমবারের পরীক্ষা পিছিয়ে ৩০ নভেম্বর নেওয়া হয়েছে।
এবার প্রথমবারের মতো আট সেট প্রশ্নপত্রে এ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু দুষ্টু মানুষ দুষ্টু বুদ্ধি নেয়। সরকার তাই কৌশলী হয়েছে।’
 প্রধান মন্ত্রীর নিকট বেসরকারী শিক্ষক সমাজের চাকুরী জাতীয় করনের দাবী।
বেসরকারী শিক্ষকদের ৩শ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ৫শ টাকা বাড়ী ভাড়া শিক্ষক বঞ্চনা আর কতদিন ?

Education is the backbone of a nation. No nation can prosper in life without Education. Teacher is a nation builder. শিক্ষকতা একটি মহান পেশা, এমন কোন পেশা নেই যা সন্মানের দিক থেকে শিক্ষকতার সমান হতে পারে। শিক্ষকেরা সোনার মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার ও জাতীয় উন্নয়নের মাপকাঠি।
আমাদের সুযোগ্য শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রায়ই বলে থাকেন, আমরা শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন দিতে পারি না তা হলে প্রশ্ন আশায় স্বাভাবিক যে কীভাবে শিক্ষার গুনগত মান তৈরী হবে । শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল প্রদান করা হবে বলেও বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের আশ্বস্ত করে যাচ্ছেন। এটা খুব ভাল দিক। শিক্ষার গুনগত  উন্নয়ন ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন সম্ভাব নয়। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান মাপকাঠি হচ্ছে শিক্ষা। আর এ শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বেসরকারী স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক  সমাজ আজ সবচেয়ে অবহেলিত।
প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্র মিডিয়া, প্রত্যদর্শীদের মতে, পূথিবীর বিভিন্ন দেশে পদমর্যদা অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন সবাই। কিন্তুু ব্যতিক্রম শুধু মাত্র বাংলাদেশের বেসরকারী শিক্ষা ব্যবস্থায়। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠানের সর্বচ্চ ব্যক্তি থেকে সর্বনিন্ম পদের ব্যক্তিটি অর্থাৎ অধ্য/সুপার/প্রধান শিক্ষা থেকে পিয়ন, নাইড গার্ড একই পরিমান টাকা, নির্ধারিত সুবিধা পান। এত অবহেলার পরেও এই সব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও বেতন বৈষম্যও আকাশ পাতাল। দেশের সকল সরকারী, বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রসা সমূহ স্ব স্ব নির্ধারিত এককই শিক্ষাক্রমে পরিচালিত হলেও শিক নিয়োগ, বেতন ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধার দিক থেকে সরকারী ও বেসরকারী উভয়  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
শিক নিবন্ধন: বেসরকারী শিক্ষা নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপ (এনটিআরসিএ) কতৃক ২০০ নম্বরের নৈব্যাত্তিক ও রচনামূলক প্রশ্ন পত্রে লিখিত পরীায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করলে বেসরকারী স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় শিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। অথচ সরকারীতে এধরনের কোন নিবন্ধন পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।
বাড়ী ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা : বেসরকারী শিক্ষা কর্মচারীগন ৫শ টাকা বাড়ী ভাড়া ও ৩শ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান অপর পে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক কর্মচারীগনসহ প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগন মূল বেতন স্কেলের ৩৫% হতে ৫০% পর্যন্ত বাড়ী ভাড়া পেয়ে থাকেন। অবশ্য মেট্রোপলিটন ও পৌরসভা এলাকায় এ হার আরও বেশী। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয় ৭০০ টাকা । অবিলম্বে বেসরকারী শিক্ষকদের বাড়ী ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।  বর্তমান বাজার মূল্যে ৫শ টাকায় বাড়ী ভাড়া তো দূরের কথা মুরগী রাখার টপ (খুল্লা) পাওয়া যায় না। যে দেশের ডাক্তারের ফি ৫শ থেকে ৮শ টাকা সে দেশে শিক্ষকদের চিকিৎসা ভাতা ৩শ টাকা।
 উৎসব ভাতা : সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীগন উৎসব ভাতা পান মূল বেতনের ১০০% অপর দিকে বেসরকারী শিা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকগন উৎসব ভাতা পান মূল বেতনের ২৫% এবং কর্মচারী গন পান মূল বেতনের ৫০% ।  এত অবহেলার পরেও এই সব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও বেতন বৈষম্যও আকাশ পাতাল।
 প্রধান শিক/সুপার : সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষা এবং মাদ্রাসার সুপারের বেতন স্কেল ১৮,৫০০ টাকা, অন্যদিকে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়/ মাদ্রাসার প্রধান শিক/সুপারদের ১৫০০০ টাকা বেতন স্কেল প্রদান করা হচ্ছে। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক/সুপারদের সমযোগ্যতা থাকা শর্তেও ১৮,৫০০ টাকা বেতন স্কেল প্রদান করা হচ্ছে না। অথচ উভয় প্রতিষ্ঠানে একই হওয়া উচিৎ ছিল না কি?
সহকারী শিক্ষা : সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার স্নাতকোত্তর  অথবা স্নাতক বিএড উভয় যোগ্যতার সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রদান করা হয় ৮,০০০ টাকা। তবে বিএডবিহীন শিক্ষককে ৫বছরের মধ্যে বিএড প্রশিক্ষন গ্রহণ করতে হয়। অপর দিকে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়/ মাদ্রাসায় স্নাতকোত্তর  পাস শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রদান করা হয় ৬,৪০০ টাকা এবং বিএড প্রশিক্ষন গ্রহণ করার পর তাদেরকে ৮০০০ টাকা স্কেলে বেতন ভাতা প্রদান করা হয়। সরকারীতে যেদিন থেকে নিয়োগ পান সেদিন থেকে বেতন ভাতা প্রাপ্তি লাভ করেন। সরকারী বেসরকারী উভয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই নিয়ম হওয়া উচিৎ।
ম্যানেজিং কমিটি : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয়ভাবে সদস্যবৃন্দ এবং সভাপতি  নির্বাচিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করন হয়ে থাকে যা কয়েকজন মাননীয় সংসদ সদস্য স্বীকারও করেছেন। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারী কোন গেজেটেড কর্মকর্তা সভাপতি হলে ওই সব অনিয়ম অনেক অংশে হ্রাস পাবে। কারণ সরকারী কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা, চাকুরী হারানোর ভয় থাকে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমূলে এ ধরনের নীতিমালা জারি ছিল কিন্তু মহাজোট সরকার মতায় এসে তা বাতিল হয়ে যায়। কমিটির মেয়াদ ২বছর থেকে বাড়িয়ে ৩/৪ বছর করা প্রয়োজন।
 টাইম স্কেল ও ইনক্রিমেন্ট :  সরকারী সকল নন গেজেটেড কর্মকর্তা কর্মচারীগণ ০৮, ১২, ১৫ বছরে পর্যায় ক্রমে ০৩টি টাইম স্কেল এরং প্রতিবছর একটি বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) পেয়ে থাকেন। অথচ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক/সুপার  এবং সহকারী প্রধান শিক্ষা/সহকারী সুপার ব্যতীত সহকারী শিক কর্মচারী গণ চাকুরী জীবনে ০৮বছর পর মাত্র একটি টাইম স্কেল পেয়ে থাকেন। তাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নিয়মিত না থাকায় নবনিযুক্ত শিক্ষা ও অভিজ্ঞ শিকগন একই বেতন পাচ্ছেন। সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় কর্মরত প্রধান শিক্ষা/সুপারগণ সিলেকসন গ্রেড পেয়ে থাকেন।
 গ্র্যাচুইটি ও পেনসন : প্রজাতন্ত্রের সকল অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগনের  চাকুরী ১০ বছর এর অধিক, কিন্তু ১৫ বছরের কম হলে সর্বশেষ মূল বেসিকের  প্রতি টাকার জন্য ২৩০ টাকা, ১৫ বছর কিন্তু ২০ বছরের কম এক্ষেত্রে প্রতি টাকার জন্য ২১৫ টাকা এবং চাকুরী ২০ বছর বা তার চেয়ে বেশী হলে প্রতি টাকার জন্য ২০০ টাকা হারে গ্র্যাচইুটি পান। আবার সর্বশেষ মূল বেতনের ৮০% হারে প্রতি মাসে পেনসন এবং ১০০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকেন। আবার কর্মকর্তা কর্মচারী গন ইচ্ছা করলে সম্পূর্ন গ্রস পেনসন এক সাথে পেতে পারেন, তবে এেেত্র অবশিষ্ট ৫০% এর জন্য অর্ধেক হারে অর্থাৎ ১০০ টাকা হারে আনুতোষিক প্রাপ্য হবেন এবং আজীবন চিকিৎসা ভাতা পাবেন। কিন্তু বেসরকারী স্কুল কজেল মাদ্রাসায় কর্মকর্তা কর্মচারীগণ সরকারীর সমপরিমান গ্র্যাচুটি এবং পেনসন পান না। কিছুদিন পূর্ব থেকে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষা কর্মচারীগণ অবসর ভাতা পাচ্ছেন। তবে এক চোখে নুন অন্য চোখে তেল দেওয়ার মত অবস্থা চাকুরী ১০ বছরের কম হলে কোন অবসর ভাতার আওতায় আসবে না । ১৯৮০ সালের ১ জানুয়ারী হতে চাকুরী গননা করা হবে। বর্তমানে নিন্মোক্ত হারে সরকারী তহবিল হতে শিক কর্মচারীগণ অবসর ভাতা (গ্র্যাচইুটি) হিসেবে এককালীন অর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হচ্ছেন। চাকুরী ১০ বছর বা তার বেশী কিন্তু ১১ বছরের কম হলে ১০ মাসের সর্বশেষ মূল বেতনের সমপরিমান টাকা, চাকুরীর অভিজ্ঞতা ১১বছর হলে ১৩ মাসের, ১২ বছর হলে ১৬ মাসের, ১৩ বছরে ১৯ মাস, ১৪ বছরে ১৯ মাস, ১৪ বছরে ২২ মাস, ১৫ বছরে ২৫ মাস, ১৬ বছরে ২৯ মাস, ১৭ বছরে ৩৩ মাস, ১৮ বছরে ৩৭ মাস, ১৯ বছরে ৪২ মাস, ২০ বছরে ৪৭ মাস, ২১ বছরে ৫২ মাস, ২২ বছরে ৫৭ মাস, ২৩ বছরে ৬৩ মাস, ২৪ বছরে ৬৯ মাস, ২৫ বছর তার বেশী চাকুরী হলে ৭৫ মাসের সর্বশেষ মূল বেতন স্কেলের সমপরিমান টাকা অবসর ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে। প্রতি বছর চাকুরীর জন্য ১ মাস হিসেবে কল্যাণ ভাতা পাবেন। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীর মত বেসরকারী শিা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শিক কর্মচারীর পেনসন ভাতা চালু করলে শিক সমাজ উপকৃত হবেন। ওই টাকা পাওয়ার আগের শিক্ষক কর্মচারীর অনেকেই মৃত্যু বরণ করে থাকে। টাকা পেতে কয়েক বছর দেরী হয়ে যায়।
সারা দেশে বেসকারী স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক সমাজ যখন শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে জেলা, উপজেলায় স্মারক লিপি প্রদান, মনববন্ধন, বিােভ সমাবেশ, মহাসাবেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘাট পালন করছেন। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে শিক্ষা কর্মচারীরা সংসার চালাতে বেসামাল হয়ে ছাত্র ছাত্রীদের তিকারক ভেবেও এ কঠিন কর্মসূচী পালন করতে পিছপা হন না। তাদের বক্তব্য আমাদের দেওয়ালে পিট থেকে গেছে এ ছাড়া আমাদের আর উপায় নেই। তবে সচেতন মহলের অভিমত এ ব্যপারে জরুরী ভিক্তিতে আশা বানী না শুনিয়ে সরকারকে বাস্তবধর্মী পদপে নিয়ে সরকারী প্রতিষ্ঠানের শিকদের মত সুযোগ- সুবিধা প্রদান করা প্রয়োজন বলে সুশিল সমাজ মনে করেন।
। আর ব্যর্থ হলে ছাত্র সমাজের নজীরবিহীন তি হবে। এ দিকে মাদ্রাসা শিার সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ জুমিয়াতুল মোদার্রেছীন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় শিকদের উপযুক্ত বেতন স্কেল দেয়া, বেসরকারী শিক কর্মচারীদের চাকুরীর বয়স ৬৫ বছরে বৃদ্ধি করা, বাড়ী ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, ঈদ বোনাস সরকারী শিক্ষকদের অনুরূপ প্রদান করাসহ ১০ দফা দাবী আদায়ের ল্েয বভিন্ন জেলায় অধ্য, তত্ত্ববধায়ক ও শিক্ষকদের অংশ গ্রহনে সন্মেলন করছেন। এ সব সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করছেন বাংলাদেশ জুমিয়াতুল মোদার্রেছীন  সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করছেন, সংগঠনের মহাসচিব অধ্য মাওলানা শাব্বির আহম্মেদ মোমতাজি। ওই সব সমাবেশে তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলছেন শুধু আশ্বাস নয় ১০ দফা দাবী বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মূলা ঝুলিয়ে রাখলে চলবে না। দাবী পূরণ না হলে জনগণ ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দিবে। তারা আরও বলেছেন, দলীয় লোকদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে কিন্তু মানুষ গড়ার কারিগর শিকদের পেছনে তেমন টাকা খরচ করা হচ্ছে না। সে দিকে সময় থাকতে নজর দিতে হবে।   আব্দুর রাজ্জাক  সেলিম ভূইয়ার শিক সমিতি  তালা বন্ধ কর্মসূচী পালন করেছেন, আতিয়ার রহমান রঞ্চিত শাহার নেতৃতাধীন শিক্ষা সমিতি একেই কর্মসূচি পালন করেছেন। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা শিক-কর্মচারীদের স্ববেতনে চাকুরীর মেয়াদ ২ বছর বৃদ্ধি করণসহ ২১ দফা দাবী আদায়ের ল্েয তীব্র আন্দোলন করছেন এ শিক্ষ সংগঠনটি। আর একটি প্রভাবশালী শিক সংগঠনের মহাসচিব সেলিম ভূইয়া বিােভ সমাবেশে, মানব বন্ধন করে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্র মিডিয়ায় জোর গলায় বলছেন শিকদের নায্য দাবী মেনে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় জোরালো বক্তব্য প্রদান করেছেন এবং করার জন্য জেল হাজতে থাকতে হয়েছে কিন্তু শিক্ষক সমাজের তেমন কোন ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।। বিগত ৪ দলীয় জোট সরকার আমূলে ড. ঔসমান ফারুক শিা মন্ত্রী ও এহেসানুল হক মিলন শিক্ষা প্রতিমনত্রী থাকা অবস্থায় শিক্ষকদের স্বার্থ বিরোধী, নিয়োগে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণী গ্রহণযোগ্য নয় সকল ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিভাগ প্রযোজ্যসহ ৯ দফা কাল চুক্তি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ছিলেন কিন্তু শিক্ষা সমাজ তা প্রত্যাান করে দূর্বার আন্দোলনের করেছিলেন। আন্দোলনের মুখে বেসামাল হয়ে ওই ৯ দফা যুক্তির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে নিয়ে ছিলেন এবং শিা জীবনে ১টি তৃতীয় বিভাগ/ শ্রেণী করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই শিক্ষ সমাজ সরকার পরিবতনে ক্যাটালিস্টের (প্রভাবক) মতো কাজ করে। এ ব্যপারে সরকারের নীতি নির্ধারকদের মনে রাখতে হবে। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্র মিডিয়া, প্রত্যদর্শীদের মতে, পূথিবীর বিভিন্ন দেশে পদমর্যদা অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন সবাই। কিন্তুু ব্যতিক্রম শুধু মাত্র বাংলাদেশের বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থায়। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠানের সর্বচ্চ ব্যক্তি থেকে সর্বনিন্ম পদের ব্যক্তিটি অর্থাৎ অধ্য/প্রধান শিক থেকে পিয়ন, নাইড গার্ড একই পরিমান টাকা, নির্ধারিত সুবিধা পান। ৫শ টাকা বাড়ী ভাড়া ও ৩শ চিকিৎসা ভাতা পান। বর্তমান বাজার মূল্যে ৫শ টাকায় বাড়ী ভাড়া তো দূরের কথা মুরগী রাখার টপ (খুল্লা) পাওয়া যায় না। যে দেশের ডাক্তারের ফি ৫শ থেকে ৯শ টাকা সে দেশে শিকদের চিকিৎসা ভাতা ৩শ টাকা তা আমার মতো মানুষের বোধগম্য হয় না। সূত্র মতে, দেশে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩শ ১৭টি এর বিপরীতে বেরসকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬ হাজার ১শ ১৩ টি, সরকারী কলেজের সংখ্যা ২শ ৫৩টি এর বিপরীতে বেসরকারী কলেজের সংখ্যা ২ হাজার ৩শ ১৭ টি, সরকারী মাদ্রাসার সংখ্যা ৬৪টি এর বিপরীতে বেসরকারী মাদ্রসার সংখ্যা ৭ হাজার ৫শ ৯৭টি। দেশের শিা ব্যবস্থায় ৯০ ভাগ শিার্থীদের পাঠদান দিয়ে থাকেন বেসরকারী মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক শিকিাগণ।  চাকুরী জাতীয় করণের এক দফা জোরালো দাবীর পরিপেেিত বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার নিবন্ধিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাধিক শিক শিকিার চাকুরী জাতীয়করণ করার ঘোষনা করেন যা বাস্তবে রুপ দিয়ে প্রসংশা কুড়িয়েছেন এবং সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যদা দেয়ার ঘোষনা দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ালো বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রসার লাখ লাখ শিক্ষ কর্মচারী প্রতি এখনও সুদৃষ্টি পড়েনি। বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রসায়  দেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় বাংলাদেশের অধিকাংশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  বেসরকারীভাবে পরিচালিত হয় এবং সম্ভবত বাজেটে এককভাবে বেসরকারী খাতে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দ সবচেয়ে বেশী। মূল বেতনের শতভাগ সরকার বহন করেও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষা ব্যবস্থা। এটা কিন্তু বিস্ময় ও ব্যতিক্রম। বেসরকারী স্কুল-কলেজ-মাদ্রসায় চাকুরী নামের সোনার হরিণটি পাবার জন্য অন্যান্য যোগ্যতার সাথে নতুন যোগ্যতা অর্জন করতে হচ্ছে সেটা হচ্ছে নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করা যেটা অন্য কোন চাকুরী পাওয়ার জন্য প্রযোজ্য হয় না এবং এটা ব্যতিক্রমও বটে। নিবন্ধন পাশ করলে যে চাকুরী হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তারপরেও চাকুরী পেতে মামা, খালুর সাথে ৭লাখ থেকে ১২লাখ টাকা উৎকোচ দিতে হয়। সৃষ্ট পদে হাজার হাজার শিক নিয়োগ পেয়ে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকেও বেতন ভাতা পাচ্ছেন না । অনেক প্রতিষ্ঠানে ৭/৮ ধরে চাকুরী করছেন কিন্তু বেতনবিহীন অবস্থায়  মানবেতর জীবন যাপন করেছেন দেখার যেন কেউ নেই। আবার অন্যান্য চাকুরীর মত মাসের শেষে বেতন ভাতা হয় না। বেতন হয় পরবর্তী মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে কোন কোন সময় বেতন পেতে আরও বিলম্ব হয়। শুনতে অবাক লাগে শিকেরা ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন মূল বেতনের ২৫ ভাগ এবং কর্মচারীদের বেলায় ৫০ ভাগ যা অন্য কোন চাকুরীতে তার কোন নজীর নেই। নানা প্রতিকূল অবস্থার মাঝে বেসরকারী শিক্ষক শিক্ষিকারাচাকুরী করে শিক্ষার মান উন্নায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।  বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনরত শিকদের দেশের প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতা নেত্রীরা শিকদের সমর্থন আদায় করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। আমরা সরকার গঠন করতে পারলে শিকদের আর মাঠে নামতে হবে না, সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। সরকারীকরণ অথবা জাতীয়করণ করে দেয়া হবে কিন্তু দুংখের বিষয় সরকার গঠন করে রাষ্ট্রপতি, প্রধান মন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু বেসরকারী শিকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা একেবারই ভুলে যান।
ফলে সরকার আসে সরকার যায়  এসব শিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়না। এভাবে শিকদের আর কত দিন, মাস, বছর প্রতারিত হতে হবে তা আল্লাহই ভাল জানেন।
কয়েক বছর পূর্বে বাড়ী  ভাড়া  বলতে শুধু থাকার জন্য বাড়ীর মালিককে নাম মাত্র কিছু টাকা দেয়াকেই  বোঝাত। তখন জ্বালানী খরচ, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস মহলার পাহারাদার ইত্যাদি খরচের তালিকায় ছিল না। আর এখন আরও যোগ হয়েছে পত্রিকা, পরিবহন, মোবাইল, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডিস লাইন বিল, কাজের মেয়ের বেতন, মাস্তানী খরচ, চাদাবাজী খরচ আরও কত কী। আর এর সবই কিন্তু একজন শিকের সামাজিক, পারিপাশ্বিক মর্যদার সঙ্গে বসবাস করা বা বাড়ীতে থাকার সাথে যুক্ত। সরকার বেসরকারী শিা প্রতিষ্ঠানের শিকদের মূলবেতনের শতভাগ বহন করেন সত্য। তার সাথে ৫শ টাকা বাড়ী ভাড়া, ৩শ টাকা চিকিৎসা ভাতা। কিন্তু শিকগণ ইনক্রিম্যান্ট, নতুন স্কেলে মেডিক্যাল ভাতা, এবং পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা পান না। বেসরকারী শিক কর্মচারীদের জীবনটাই এমন যে নূন আন্তে পান্তা ফুরাই অবস্থা অর্থাৎ একদিনে খরচ যোগাতে অন্য দিনের দেনা হয়ে যায়। শিকের প্রাইভেট পড়া ও কোচিং বানিজ্য বন্ধে নীতিমালা জারি হয়েছে। তারা সংসার চালাবে কিভাবে? কিভাবে তাদের কাছ থেকে উন্নত মান সম্মত পাঠদান আশা করা যায়। একজন শিক সরকারের নিকট থেকে যত টাকা পান তার চেয়ে অটো রিক্্রা চালকেরা বেশী পেয়ে থাকেন। আর গ্রামীণ বাস্তবতায় ভর্তি, ফরম পূরনের টাকাও অনেক সময় মাফ করে দিতে হয়। বেশীর ভাগ েেত্র প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েও নেই কোন সুযোগ সুবিধা। এমপি, মন্ত্রীর ও ব-কলম রাজনৈতিক নেতা পাতিনেতাদের দাপট ও ধমক না পোষালে চলে যান। কিন্তু পোষায় কিভাবে, যাবই বা কোথায়? আবার নেই গোল্ডেন হ্যান্ডশেক এর সুবিধাও।

বর্তমান সরকারের সাফল্য ও দতা মানে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অবস্থান অনেক উপরে আর মন্ত্রী মহোদয়ের ভূমিকা আন্তরিক এবং প্রশংসনীয়। আর প্রধান মন্ত্রী শিকদের প্রতি যে অনেক আন্তরিক তার বহু নজীর রয়েছে। তাই শিক সমাজের দাবী প্রায়মারীর শিক্ষকদের মতো মাধ্যমিক বেসরকারী শিক্ষকদের  জাতীয়করণ করা হউক এবং জাতীয় পে-স্কেলের অন্তভুক্তি ঘোষনা করে দ্রব্য মূল্যের উদ্ধোগতির বাজারে মানুষ গড়ার কারিগরদের আলু ভর্তা, ডাল ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা হয় যেমন একদিকে অন্য দিকে তদ্রুপ শিকদের দীর্ঘ দিনের দাবীও পূরণ হয়। আর দেশ ডিজিট্যাল ও মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ার েেত্র অনেক দুর এগিয়ে যায়। আর এজন্য প্রয়োজন সাহসী ও বাস্তব পদপে ।  তারিখ ১৬/০৬/২০১৫ইং
মোঃ হায়দার আলী,
সভাপতি,
প্রধান শিক্ষক,
মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়,
গোদাগাড়ী, জেলা, রাজশাহী।
মোবাইল নং ০১৭৪৫৫৩২২২২
০১৫৫৬৩১৭৪৬১, ফোন নং ০৭২২৫৫৬২০৫


গোদাগাড়ীর ৩৩জন প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছে
জিনিউজ২৪ডেস্ক: গোদাগাড়ীর ৩৩জন প্যানেলভুক্ত শিক নিয়োগ পাচ্ছে। ওই প্যানেলভুক্ত শিকদের রিটের পরিপ্রেেিত গতকাল হাইকোর্টের আদেশে গোদাগাড়ীর ৩৩ জন সহ ২৩৩ জন শিককে নিয়োগ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। রাজশাহীর আব্দুল ওয়াহাব ও আফসারুল ইসলামসহ লিখিত ও মৌখিক পরীায় উত্তীর্ণ ২৩১ শিককে সদ্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মামুনুন রহমান ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ সংক্রান্ত রুল নিস্পত্তি করে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব ও সুলতান মাহমুদ।
এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর লিখিত ও মৌখিক পরীায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও নিয়োগ না পাওয়ায় ২৩১ জনের পে রাজশাহীর আব্দুল ওয়াহাব রিট দায়ের করেন। এরপর ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদেরকে নিয়োগ দিতে রুল জারি করেন। আজ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২৩১ জন প্রাথীকে স্ব স্ব জেলা রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, টাঙ্গাইল, যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ, বগুড়া, জয়পুরহাটে নিয়োগের আদেশ দেন।
মামলার বৃত্তান্তেজানা যায়, গোদাগাড়ীর ১৩৫ জন শিক চুড়ান্ত পরীায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শুধু মাত্র ৩৫জনকে পদায়ন করা হয়। বাকী ১০০ জন নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়। সেই পরিপ্রেেিত গোদাগাড়ীর আঃ ওহাব, সারোয়ার জাহান ও সাবিনা খাতুন সহ ৩৩ জন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তারই পরিপ্রেেিত গতকাল তাদের আশা পূর্ণ হলো বলে জানা যায়। চুড়ান্ত পরীায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তারা অন্য কোন চাকুরীর সন্ধান না করে নিছক বাড়ীতে অলস বসে ছিল। কিন্তু দিন যেন যেতে চাচ্ছিল না। অত্যন্ত কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছিল এসব শিকদের। হাইকোর্টের আদেশ শুনে তাদের প্রানচঞ্চল হয়ে উঠে। এমনটিই জানাচ্ছিলেন শ্রীমন্তপুর গ্রামের সারোয়ার জাহান। ## ১০/৫/২০১৫
 গোদাগাড়ীতে যাত্রীবাহি বাস উল্টে
নিহত ১, সাংবাদিকসহ আহত ১৫
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় যাত্রীবাহি একটি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মহাসড়কের ওপর উল্টে গিয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার গোদাগাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি খাইরুল ইসলামসহ অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার   উপজেলার মাটিকাটা বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জমুখি মহানন্দা স্পেশাল সার্ভিসের মাষ্টার এন্টার প্রাইজ নামের একটি (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-২০৬৯) যাত্রীবাহি বাস  দুপুর দেড়টার দিকে গোদাগাড়ীর মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের সামনে রাজশাহী-চাঁপাই মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের সুপারভাইজার হিরো (৩৫) নিহত হন। নিহত হিরো রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট মহিষবাথান এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।
    দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা শহীদুল হক (৩০), মজিবুর রহমান (৫৮), নুরুল্লাহ (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৩০), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২), মহসিন আলী (৫০), রায়হানুল আলম (৫৪) এবং মিল্টন (৩০) নামের ৮ যাত্রীকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এছাড়া শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম (৩৮) এবং নার্গিস আক্তার (৩৫) নামের দুই যাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে সাংবাদিক খাইরুল ইসলামকে রাজশাহীর নওদাপাড়াস্থ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    আহত সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে তিনি ওই বাসে রাজশাহী থেকে গোদাগাড়ী যাচ্ছিলেন। শতাধিক যাত্রী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলছিল বাসটি। মাটিকাটা এলাকায় অপর একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে তাদের বাসটি মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়।
    এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পর প্রায় একঘন্টা রাজশাহী-চাঁপাই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান ওসি।



গোদাগাড়ীতে কুখ্যাত মাদক সম্রাট 
জাহাঙ্গীর ও শীষ মোহাম্মদ গ্রেফতার
জিনিউজ২৪ ডেস্ক:
দশ লাখ টাকার হেরোইন ও একটি প্রাইভেট কারসহ পুলিশের তালিকায় থাকা গোদাগাড়ীর শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে কুখ্যাত মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর ও শিষুকে গ্রেফতার করায় উপজেলা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত দেড়টার দিকে জাহাঙ্গীরের ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে দশ লাখ টাকা মূল্যের ২’শ গ্রাম হেরোইনসহ ওই দুই হেরোইন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত শীষ মোহাম্মদের রেজিষ্ট্রেশনবিহীন সাদা রঙ্গের একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করে পুুলিশ।
অন্যদিকে ‘উত্তরা প্রতিদিন’ নামের রাজশাহী থেকে প্রকাশিত একটি আঞ্চলিক পত্রিকার গোদাগাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। ওসি আরো জানান, পুলিশের তালিকা অনুযায়ী শীষ মোহাম্মদ গোদাগাড়ীর প্রথম এবং জাহাঙ্গীর আলম দ্বিতীয় বড় হেরোইন ব্যবসায়ী। তাদের নামে থানায় একাধিক মাদকের মামলা চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, হেরোইন ব্যবসায়ীদের এই দুই গডফাদার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় হেরোইনের ব্যবসা করে অতি অল্প দিনে শূণ্য থেকে কোটিপতি বনে গেছেন। মাত্র এক যুগ আগে শীষ মোহাম্মদ অন্যের জমিতে কামলা দিলেও এখন তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। ২০০৭ সালে তিনি অস্ত্র ও হেরোইনসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। শীষ মোহাম্মদের চাচা হুমায়ুন কবীর ঢাকায় বসে হেরোইন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। অপর চাচা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খুয়াজ আলীও হেরোইনের কারবারের সঙ্গে জড়িত। কয়েক বছর আগে খুয়াজ আলীও অস্ত্র-হেরোইন ও জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে খুয়াজ আলী তাঁর ভাতিজা শীষ মোহাম্মদকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় তদবিরে আসলে থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ তাকেও শাসিয়েছেন।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীর আলমের পিতা নওসাদ আলী ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী। ১৯৮৬ সালের দিকে তার বিরুদ্ধে হেরোইন ব্যবসার অভিযোগ উঠলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বর্তমানে নওসাদ আলী গোদাগাড়ী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জানা’র বিরুদ্ধে প্রতারণারও অভিযোগ রয়েছে। তার লোক দেখানো ‘জানা ইন্টারন্যাশনাল’ নামের নির্জন এই ইটভাটা থেকেই কোটি কোটি টাকার হেরোইন পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া মহিষালবাড়ি বাজারে অবস্থিত জাহাঙ্গীর আলমের কথিত ‘আসক্ত নিরাময় কেন্দ্র’ থেকেও হেরোইনের কারবার চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। গতবছর ৩/১১/২০১৩ তারিখে তারই আসক্ত নিরাময় কেন্দ্র থেকে কুখ্যাত মাদক সিন্ডিকেট জাহাঙ্গীর গ্র“পের সক্রিয় ১৯ জন হেরোইন ব্যবসায়ীকে আটক করেছিল পুলিশ। এছাড়া আসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে হেরোইন ব্যবসার প্রতিবাদ করায় গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর এক রোগিকে পিটিয়ে হত্যারও অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগে সম্প্রতি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল হান্নানকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।

গোদাগাড়ীতে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ১
জিনিউজ২৪ ডেস্ক:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ ফারুক হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফারুক হোসেন রাজশাহীর পবা উপজেলার বেড়পাড়া গ্রামের ফরহাদ উদ্দীনের ছেলে।
গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার লালমাটিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে। এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আটক ফারুক হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ## ৩০/১০/২০১৪


গোদাগাড়ীতে সাংবাদিকদের সাথে এসিআইয়ের
নির্বাহী পরিচালকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জিনিউজ২৪ডেস্ক:
এসিআই কোম্পানী লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ড. এফ.এইচ আনসারী বলেছেন, মেধা, যোগ্যতা ও দতার মাধ্যমে “গোদাগাড়ী” স্থানটিকে ব্র্যান্ড করে সারা দেশে ও বিদেশে  গোদাগাড়ী উপজেলার নতুন করে পরিচয় এনে দিতে হবে। এ ল্েয উপজেলার সকল মানুষকে দলমত নির্বিশেষে কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই কেবল এ এলাকার উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, বেকার সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে এসিআই কোম্পানী কয়েকটি কৃষি পণ্যের নাম গোদাগাড়ীর নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজারজাত করে গোদাগাড়ী উপজেলার নাম সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ডাইংপাড়াস্থ গোদাগাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আনসারী এসব কথা বলেন। গোদাগাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি অধ্যাপক আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকার কৃষি প্রশিণ ইন্সটিটিউটের অধ্য ও ঢাকাস্থ গোদাগাড়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম মুকুল। এ সময় গোদাগাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি একরামূল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্য আশরাফ বাবু, সাধারণ সম্পাদক সেলিম সানোয়ার পলাশ, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পিয়ারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালেক, সদস্য রিমন রহমান, খাইরুল ইসলাম, বিপ্লবসহ ইউনিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাস্থ গোদাগাড়ী সমিতির ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত

জিনিউজ২৪ডেস্ক:
গোদাগাড়ীতে ঢাকাস্থ গোদাগাড়ী উপজেলা সমিতির ঈদ পূণর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড়ে অনুষ্ঠিত ঈদ পূণর্মিলনীতে সভাপতিত্ব করেন, কৃষি প্রশিণ ইন্সটিটিউট’র অধ্য ও ঢাকাস্থ গোদাগাড়ী উপজেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম মুকুল। প্রধান অতিথি ছিলেন, সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এসিআই কোম্পানী লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ড.এফএইচ আনসারী। সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গোদাগাড়ী উপজেলা সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের ও ইফতেখারুল ইসলাম চেঙ্গিস, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম জুয়েল, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক তানভিরুল ইসলাম রাঙা, রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. কহিনুর আলম, গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ।

গোদাগাড়ীতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২৫
জিনিউজ২৪ডেস্ক:
গোদাগাড়ীতে সাইকেল ও মোটর সাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ২দিনে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৩৫) মৃত্যু এবং আহত হয়েছে প্রায় ২৫ জন । নিহত ওই ব্যক্তি সাইকেলের আরোহী ছিলেন। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোদাগাড়ী-আমনূরা সড়কের ঘুন্টির মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ঘুন্টির মোড়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা বেপরোয়া গতিতে  যাওয়ার সময় সাইকেল আরোহীকে জোরে ধাক্কা দেয় এবং  ওই সাইকেল আরোহী ব্যক্তি রাস্তা থেকে ছিটকে পিলারের সাথে আটকে গিয়ে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান। রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের কন্সটেবল মিজানুর রহমান জানান, পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাতনামা ওই লাশটি হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এদিকে দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেল আরোহী ব্যক্তি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে স্থানীয়রা আরো জানান, ঈদুল ফিতর উপলে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন দিগরাম ঘুন্টিঘরের খেজুরতলায় অবস্থিত সাফিনা পার্কে আগত বিনোদনমুখি মানুষেরা বেপরোয়া গাড়ী চালাতে গিয়ে নসিমন, ভুটভুটি মোটরসাইকেল ও বাই সাইকেলের সংঘর্ষে ২ দিনের ব্যবধানে বিনোদনমুখী যাত্রীদের প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে দিগ্রামের পথযাত্রী মৃতঃ আনসারের স্ত্রী দুলি বেগম রাস্তা পারাপারের সময় মারাত্মকভাবে সড়ক দূর্ঘটনায় কবলিত হয় এবং তিনি গোদাগাড়ী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঐ দিনই সন্ধ্যা ৬টার সময় ঘুন্টিঘর নামক স্থানে বেশ কয়েকজন যুবক ৩টি মোটরসাইকেল যোগে বেপরোয়াভাবে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে অজ্ঞাত এক সাইকেল আরোহীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে তাৎণিক তাকে ও মোটরসাইকেল আরোহী ২জনকে এলাকাবাসী নসিমনযোগে গোদাগাড়ী ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। অজ্ঞাত ২ জনের অবস্থা আশংকা জনক হলে রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, এ পার্কে দূরদূরান্ত থেকে আগত অতি উৎসাহী যুবকেরা গ্রামের এ সরু রাস্তাটিতে অতি দ্রুত মোটর সাইকেল ড্রাইভ করতে গিয়ে ঘুন্টির বাঁকা পথটিতে হরহামেশায় সড়ক দূর্ঘটনায় পড়ছে। ডাইংপাড়া মোড় হতে সাফিনা পার্ক প্রায় ৮ কিমি রাস্তা প্রসস্থকরণ এবং স্পিড ব্রেকারের ব্যবস্থা করার দাবী জানান এলাকার জনগণ। এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরহাদ হোসেন বলেন, মৃতের ব্যাপারে বাদী বিবাদী কেউই অভিযোগ করেনি। তবে ঈদের পর ফাঁকা রাস্তা পেয়ে অনেকে গাড়ী জোরে চালাচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেক পোস্ট বসানো হবে।

No comments:

Post a Comment