*গোদাগাড়ীতে ২০ গ্রাম হেরোইন সহ ১ জন মহিলা আটক* গোদাগাড়ীতে ৩১৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১জন ধৃত* রিভিউ খারিজ, প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলল* গোদাগাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণিকা-২০১৫ মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্বাচিত মেয়রদের সংবর্ধনা প্রদান*"

গোদাগাড়ী নিউজ


 রিভিউ খারিজ, প্যানেলভুক্ত শিক নিয়োগের পথ খুলল
গোদাগাড়ী পৌর প্রতিনিধিঃ রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্যানেলভুক্তদের নিয়োগের পথ খুলেছে। প্যানেলভুক্ত ১০ শিক্ষককে নিয়োগ দিতে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপরে লিভ টু আপিল খারিজের পর তা পুন:বিবেচনা চেয়ে করা রিভিউ আবেদনও খারিজ করেছে সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ আপিলের রায় পুন:বিবেচনা চেয়ে রাষ্ট্রপরে করা আবেদন খারিজ করে। এর ফলে প্যানেলভুক্ত ১০ শিক্ষকের নিয়োগের পথ আরও সুগম হল বলে জানিয়েছেন তাদের অন্যতম আইনজীবী মো. ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। এই রায়ের পরিপ্রেেিত গোদাগাড়ীর শ্রীমন্তপুর গ্রামের এনামুলের ছেলে সারওয়ার জাহান, অহাব আলী, শাহাদাত ও সেতাবুর সহ ৩৭ জন প্যানেল শিক্ষক নিয়োগ পাবে বলে জানা যায়।
তবে রাষ্ট্রপরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম বলেন, বিলম্ব হওয়ায় আপিল বিভাগ পর্যবেণ দিয়ে রিভিউ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে। “এ রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে প্রভাব ফেলবে না বলে আদালত পর্যবেণ দিয়েছে। আদালতে শিক্ষকদের পে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। তাদের সহায়তা করেন আইনজীবী মো. ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। রাষ্ট্রপে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্ণি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপজেলাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তির ৩ নম্বর শর্তে উল্লেখ করা হয়। এ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪২ হাজার ৬১১ জনের একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২০১২ সালের ২১  মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর এক পরিপত্রে ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের কথা জানায়। এরপর ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। তখন নিয়োগবঞ্চিত ও প্যানেলভুক্ত মো. শফিকুল ইসলাম জুয়েলসহ নওগাঁর ১০ প্রার্থী ইউনিয়ন ভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও নিয়োগের নির্দেশনা হাই কোর্টে রিট চেয়ে আবেদন করে। আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৮ জুন তাদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়ে ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় আদালত। এর বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যরা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এই লিভ টু আপিল গত বছরের ৭ মে খারিজ হয়। রাষ্ট্রপ তা পুন:বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে; শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার খারিজ হয়। পরে ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, প্যানেলভুক্ত এই ১০ শিক্ষকের বাইরেও পৃথক ৪৯০টি রিট আবেদন ইতিপুর্বে হাই কোর্টে নিষ্পত্তি করে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেয়। এর সংখ্যা ১৫ হাজার হতে পারে।




গোদাগাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণিকা-২০১৫ 

মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্বাচিত 
মেয়রদের সংবর্ধনা প্রদানপ্রেস বিজ্ঞপ্তি: গোদাগাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটি কর্তৃক গোদাগাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণিকা ২০১৫ এর মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্বাচিত গোদাগাড়ী পৌর মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু ও কাকনহাট পৌর মেয়র আলহাজ্জ আব্দুল মজিদ কে রবিবার বিকাল ৪টার দিকে গোদাগাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়। গোদাগাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী আওয়ামীলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম আবু ফরহাদ, গোদাগাড়ী প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী, গোদাগাড়ী উপজেলা প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক জামিল আহমেদ, গোদাগাড়ী পৌর প্রেসকাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

জৈষ্ঠের তাপে পুড়ছে গোদাগাড়ী:
[গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন]
আব্দুল খালেক: আজ জৈষ্ঠ মাসের ৯ তারিখ, প্রচণ্ড তাপে পুড়ছে গোদাগাড়ী উপজেলা। খাঁ খাঁ করছে সর্বত্রই। জনমনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ক'দিন থেকেই মেঘ-বৃষ্টি নেই, সকাল হলেই বুঝা যায় দিনটি কেমন যাবে। একান্তই নি:প্রয়োজন ব্যতিরেকে বাড়ীর বাইরে বেরুচ্ছেনা কেউই। অপর দিকে কয়েকদিন পূর্বে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কৃষকদের ধান টাকা-মাড়া নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। প্রথম দিকে শুনছিলাম ৩ ভাগের এক ভাগ ধান কামলার। কিন্তু পানিতে ধান গাছ ডুবে যাওয়ার ফলে ৫০/৫০ হয়েগেছে। মালিকের অর্ধেক ও কামলার অর্ধেক। তার পরেও কামলা পাওয়া দুস্কর। কৃষককূল বড়ই বিপদে আছেন। অনেক কৃষক বলছেন, ধান চাষাবাদ না করে কামলা দেওয়ায় শ্রেয়। এদিকে দীর্ঘ দিন ধান পানিতে থানায় উক্ত ধানে আবার চারা গজিয়েছে। যার কারণে ওই ধানের দাম পাচ্ছে না কৃষক এবং ওই ধান ভাঙ্গিয়ে চাউল করে তার ভাত খেতেও তেমন স্বাদ নেই। সব মিলিয়ে ধান চাষিরা এখন পড়েছেন মহা বেকায়দায়।
এখন স্কুল গুলোতে চলছে গ্রীষ্মের ছুটি। গ্রামের ছেলেরা ছুটি পেয়ে দূরন্তপনায় ব্যস্ত সারা দিন। পুকুর কিংবা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দূরন্তপনা করতে দেখা গেছে বিভিন্ন গ্রামে। কিন্তু বড়রা দূরন্তপনা করবে কোথায়? কোন উপায় নেই তাদের। প্রচন্ড খরতাপ যেন স্বস্তি মিলছে না কোথাও। এই গরমে বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস জনিত অসুখ দেখা দিচ্ছে। একটুখানি স্বস্তির আশায় কেউ শষা কিংবা কেও ডাবের পানির দিকে ঝুকছে। ডাইংপাড়া মোড়ে ডাবের দোকানগুলোতে ভিড় করে ডাবের পানি পান করতে দেখা যায়। আবার কোল্ড ড্রিংকস্ এর দোকানগুলোতেও ঠান্ডা জাতীয় পানীয় পান করতে দেখা গেছে অনেককেই। তবে এ দাপদাহ আর ক'দিন থাকবে তা বলতে পারছেন না কেউই। ভ্যাপসা গরমে ও অতিরিক্ত গরমে ঝলসে যাচ্ছে গাছের পাতাগুলো। বরেন্দ্র অঞ্চলের এই উপজেলাটিতে প্রতি বছরই এমন গরম হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। ## ২২-৫-১৫



 গোদাগাড়ীর প্রধান ডাকঘরের বেহাল অবস্থা,
গ্রাহক সেবা হুুমকির মুখে
জিনিউজ২৪ডেস্ক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রধান ডাকঘর ভবনের বেহাল দশা হওয়ায় গ্রাহক সেবা হুুমকির মুখে পড়েছে।  গোদাগাড়ীর প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ডাকঘরটি সংরনের অভাবে ও ভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিদিনের গ্রাহকরা নানা বাধা বিপত্তির সম্মুখিন হচ্ছে। ডাকঘর ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা ডাকঘরটির মূল ভবন ১০ (২০০৬) পূর্বে নির্মিত হলেও এখন সেখানে সঠিক সেবা দেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ভবনের কোথাও রং নেই, আবার কোথাও প্লাষ্টার খসে খসে পড়ছে, ভবনের পুরো ছাদ জুড়ে প্লাষ্টার খসে পড়ে ছাদের রড গুলো দেখা যাচ্ছে। গত বছর জুন মাসের ১৫ তারিখে ছাদ হতে সিলিং ফ্যান খুলে পড়লে চার জন গ্রাহক গুরুত্বর আহত হয়। আহত হওয়ার ফলে রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা ভবন পরিদর্শন করেন। ভবন এবং ভবনের ফ্যান  গুলো ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় খুলে ফেরার নিদের্শ দেন। তার পর এক বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন পদপে গ্রহণ করা হয়নি। ফলে গ্রাহকরা সেবা নিতে গিয়ে ভয় ভীতির মধ্য থেকে সেবা নিয়ে কোন রকমে বাইরে অবস্থান করে। আবার অনেককে দেখা গেছে ভবনের বাইরে থেকে সেবা গ্রহণ করে। সঞ্চয়ী হিসাব গ্রাহক মোঃ আওয়াল বলেন, পোষ্ট ভবনের অবস্থান করলে সব সময় ভয় ভয় লাগে। কখন হয়তো ছাদ খুলে পড়বে। কোন রকমে সেবা নিয়ে বাইরে আসতে উদত্ত হই। তিনি আরো বলেন, ভবনটি দ্রুত মেরামত করে গ্রাহক সেবা উন্নত করার দাবি জানায়।


পোষ্ট আফিস সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী প্রধান ডাকঘরে নিয়মিত ডাকসেবা ছাড়াও ১২টির মত সেবা প্রদান করা হয়। সেবা গুলো হলো, পরিবার সঞ্চয় পত্র, পেনশনার সঞয় পত্র, ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়, ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয় পত্র, ওয়েজ অনার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউ.এস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড,  ইউ.এস ডলার ইনভেষ্টমেন্ট বন্ড, বাংলাদেশ প্রাইজ বন্ড, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, ডাক জীবন বীমা এছাড়াও প্রতিদিন এখানে মাবাইল মানি অর্ডারে ৫ থেকে ৭ল টাকা লেনদেন হয় । এই সার্ভিস গুলো সেবা প্রদান করার জন্য পোষ্ট মাষ্টার সহ ১১জন জনবল  রয়েছে। পোষ্ট্ অফিসের কর্মরত নাজমা জানায় যে, সেবা কেন্দ্রে কোন ফ্যান না থাকায় ও ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসে কাজ করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রধান ডাকঘরে পোষ্ট মাষ্টার  আব্দুল মতিন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন অফিস করতে হচ্ছে। অফিসটির মেরামতের জন্য উদ্ধতন কর্তৃপকে কয়েক দফা আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। ভবিষতে হবে কিনা এরকম কোন আশাও দেখচ্ছি না। তবে আমরা আমাদের সামার্থ দিয়ে গ্রাহক সেবা প্রদান করে যাচ্ছি।     

 গোদাগাড়ী মডেল থানা: দালাল মুক্ত
জিনিউজ২৪ডেস্ক: গোদাগাড়ী মডেল থানা এখন দালালমুক্ত। এ থানায় এলাকার জনসাধারণ নির্ভয়ে নিজেদের কার্যাদী সম্পাদন শেষে অনায়াসে ফিরে যেতে পারেন। গোদাগাড়ী মডেল থানা এক সময় ছিল কিছু চির চেনা মাদক সম্রাট ও নেতাকর্মীদের দখলে এমনটি সাধারণ নিরিহ মানুষ বিভিন্ন কাজে থানায় গেলে দালালদের দৌরাত্মে দিশেহারা হয়ে পড়ত। প্রতিনিয়ত দেখা মিলত এলাকার হাতে গোনা কয়েকজন কুখ্যাত দালালকে। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসামাত্র অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা ও অসাধু কতিপয় দালাল নিয়ে এসে মোটা অংকের বখরার মাধ্যমে ছাড়িয়ে নিতে দেখা গেছে। অনেক সময় দালালেরা থানার অফিসারদের হুমকিও দিয়েছেন। উত্তর বঙ্গের মাদক চোরাকারবারীদের নিরপদ রুট হিসাবে  খ্যাত এই এলাকার বেশ কিছু প্রতাপশালী মাদক সম্রাটকে ধৃত করে জেলে প্রেরণের পর এলাকা এখন প্রায় শান্ত। থানা সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী থানা হিসাবে ১৯২৬ সালে নির্মিত ও মডেল থানায় রুপান্তরিত হয় ২০০৭ সালে।  গোদাগাড়ীর আয়তন প্রায় ৪৭৬.২৭ বর্গ কি.মি এবং জনসংখ্যা প্রায় ৩ ল ৩০ হাজার।  এ থানায় মোট ৯টি ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভা ও ২টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র বিদ্যমান রয়েছে। অত্র থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসাবে ২৪জন অতিবাহিত হয়েছেন। বর্তমানে দায়িত্বেথাকা এস.এম আবু ফরহাদ যোগদান করার পর থেকে পুরো গোদাগাড়ীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন আগের তুলনায় অনেক ভাল। দলীয় প্রভাবশালী নেতা ও ক্যাডার দৌরাত্ম এখন আর চোখে পড়ে না। এক সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল। গোদাগাড়ী থানা এখন সরকার দলীয় অফিস। মাদক সম্রাটদের সাথে পুলিশ অফিসারদের সখ্যতা বেশি থাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেশি পরিলতি হত। এখন আর তাদের দেখা মিলে না। বর্তমান ওসি বলেন আমি এই থানাকে সম্পূর্ণ দালাল মুক্ত করেই ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এক মাত্র নিরিহ জনগণের সেবা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ওসি বলেন, আমরা জনগণের সেবা করার নিয়তে কাজ করে যাচ্ছি। দালালকে আমরা ভয় পায় না। আবু ফরহাদ গোদাগাড়ী থানায় আসার পর সবচেয়ে আলোচিত গোদাগাড়ীর মাদক সম্রাট গোদাগাড়ীর কুখ্যাত মাদক সম্রাট  জাহাঙ্গীর ও শীষ মোহাম্মদকে তার জানা ইন্টারন্যাশনাল থেকে রেজিষ্ট্রিবিহীন কার ও ২’শ গ্রাম হেরোইনসহ ৩০/১০/১৪ তারিখে গ্রেফতার পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করেন, এছাড়াও মহিশালবাড়ীর আলোচিত  মাদক সম্রাট ও দালাল মোফা কমিশনারকে গ্রেফতার করে শ্রীঘরে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলার আনাচে কানাচে বর্তমান ওসি যোগদান করাই ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। দালাল মুক্ত গোদাগাড়ী মডেল থানা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সর্বস্তরের এলাকাবাসী। তবে পুলিশ প্রশাসনকে আরো এলাকার সর্বস্তরের জনগণের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করার জন্য মন্তব্য করেছেন এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ।

No comments:

Post a Comment