*গোদাগাড়ীতে ২০ গ্রাম হেরোইন সহ ১ জন মহিলা আটক* গোদাগাড়ীতে ৩১৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১জন ধৃত* রিভিউ খারিজ, প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলল* গোদাগাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণিকা-২০১৫ মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্বাচিত মেয়রদের সংবর্ধনা প্রদান*"

মাদক

সময়ের ভাবনা!
শিক্ষিত ব্যক্তিরা মাদকাসক্ত কেন?
আব্দুল খালেক: দেশের প্রায় সিংহভাগ শিতি মানুষ নেশার সাথে জড়িত। মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা কিংবা হেরোইন প্রতিটি মাদকের সাথে শিক্ষিত মানুষ জড়িত হয়ে পড়ছে। যে সকল লোক ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা হেরোইন ব্যবসা করে, তারা সকলেই শিক্ষিত অঢেল সম্পদের মালিক। তবে বেশিরভাগ নামি- দামি তারকারা ইয়াবার সঙ্গে জড়িত। আবার যারা হেরোইন ব্যবসা করে তারা সকলেই শিক্ষিত। অশিক্ষিত লোক এ বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে এমন ব্যবসায় জড়িত হওয়া একেবারে দুস্কর। যে সকল অশিক্ষিত লোক দিন আনে দিন খায় তারা কি করে এ ব্যবসায় জড়িত হবে? এমনই মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। বাংলাদেশের মধ্যে গোদাগাড়ী থানাটির ব্যপ্তি অত্যন্ত ছোট হলেও লোকে বলে এখানে রয়েছে মাদকের খুনি। প্রতি সম্পাহে গোদাগাড়ী মডেল থানায় দু’চারটি মাদকের মামলাতো আছেই। এখানে জরিপ করে পাওয়া যায়, যে সকল লোক মরণ নেশা মাদকের সাথে জড়িত তারা সকলেই নামী-দামী বাঘা বাঘা শিক্ষিত। এরা সকলেই যুবক/যুবতী। তাঁদের আকাশ চুম্বি আলিশান বাড়ী দেখলেই বুঝা যায়, এ বাড়ী কোন টাকা দিয়ে নির্মিত। তাদের বেশিরভাগই চাকুরী কিংবা কোন কাজ করেন না। বর্তমানে তারা অনেকেই নামকাওয়াস্তে ছোট খাটো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এইত ক’মাস পূর্বে গোদাগাড়ী কয়েকজন মাদক সম্রাটকে ধৃত করে জেল হাজতে পুরেছেন গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ। আর যেসব লোকেরা এসব নুংরা জিনিস খায় তারাও হলেন, স্কুল কলেজের শিক, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, দলের নেতা, বড় বড় ব্যবসায়ী কিংবা বেকার শিক্ষিত মানুষ। কারণ একটি রিক্সা চালক এক বোতল ফেনসিডিল কিংবা ইয়াবা খাওয়ার সামর্থ বা প্রয়োজন মনে করে না। একজন হোটেল বয় বা দিন মজুর খুব জোর একটি পাতার বিড়ি খায়। পান্তরে একজন শিক্ষিত যিনি কলেজের শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী বা নেতা খায় গোল্ডলিফ/ ব্যানসন। এখানেই বুঝুন তফাত কত? তাই দেশকে প্রকৃতপে শিক্ষিতরাই এই মরণ নেশার ছোবলে আবদ্ধ করে কর্দমাক্ত করছে। অন্য দেশের কাছে নিজ দেশতে কলুষিত করছে। নিজে মরছে এবং অন্যকে মারার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এসব শিতি লোকদের অবয়ব চেগনাই এতই চাকচিক্য যে বলার অপোয় রাখে না। এরা সর্বদা রেক্সা চালকদের দিয়ে মাদক পাচার করে থানার বাউন্ডারী বাউন্ডারী ঘুরে বেড়ায়। নিজেকে সাধুর বেশে রাখে। কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তারাই সর্বাগ্রে মিমাংসাকারীরূপে আবির্ভূত হয়।
পাওয়া যাবে কি এদের ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি? যারা এ মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে পরপারে চলে গেছে, ফিরে
         অসৎ উপার্জন শুধু মাদকেই প্ররোচিত করে না, গোটা সমাজ, এমনকি রাষ্ট্রকে চরম অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দেয়। আমাদের ছেলে মেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমরা কি না করি। কিন্তু একবারও কি ভেবেছি আমার বাড়ীর চার পাশের কি অবস্থা? পুরো মাদকে সয়লাব। যদি বাড়ীর আশ পার্শের মাদক নামীয় আবর্জনা দূর করতে না পারি তাহলে আমাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত অতল গহবরে নিমর্জিত হবে। তখন ভেবে আর লাভ হবে না। দেশে যত অরাজগতা হয় তার সিংহ ভাগই হয় মাদককের কারণে। যত নিষ্ঠুরতা, নারী কেলেঙ্কারী, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানী, সড়কে পরিবহন দূর্ঘটনা এ সমবের মূল কারনই হচ্ছে মাদক। আগামী ২০ বছরের মধ্যে দেশ একটি বিকারগ্রস্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মনে হচ্ছে। ১৯৯৫ সালে ২০টি উন্নত দেশের ওপর গবেষণা করে বলা হয়েছিল যে, যারা ধুম পান করে তাদের ৪৪ শতাংশ কোন না কোন মানষিক রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের এক হিসাবে দেখা গেছে প্রতিদিন ধুমপানের কারণে ১৪ মিনিট করে আয়ু কমে। ধূম পানের ফলে শ্বাসযন্ত্রের মারাত্মক তি হয়। ধূম পানের ফলে পাকস্থলীর তি হয়। কর্মেেত্র ৬৩ শতাংশ অধূমপায়ী নর-নারী পরোভাবে ধূমপানের শিকার হন। আমাদের নিউজ পেপার, টিভি চ্যানেলগুলো রাজনীতির আলোচনা নিয়ে যত ব্যস্ত, এমন ব্যস্ত হতো যদি মাদকের আলোচনা নিয়ে তবে দেশটা মনে হয় আরো এক ধাপ আগেই মাদক মুক্ত হত। আমাদের দেশের দুই প্রধান দলের নেত্রী যেন আলাদীনের চেরাগ নিয়ে বসে আছেন। রাজনীতির সমস্যার সমাধান হলেই নাকি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বাংলাদেশ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে জঙ্গী দমনে এক যোগে কাজ করে সফল হয়েছেন। তেমনি যদি মাদকের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে নামতেন তাহলে মাদক নামীয় অভিশাপটি অনেক আগেই দূরিভূত হয়ে যেত। যে সমসস্ত শিক্ষিত রাজনীতিকরা মাদকের ব্যবসা করে টাকার বিছানায় শুয়ে থাকে শান্তি অনূভব করেন তারা মূলত অবৈধ টাকার হাতছানিতে নিজেদের সন্তাদানীকেই নষ্ট করছেন। যে সন্তানকে শিতি ও আদর্শিক করার মানসে বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছেন সে সমস্ত সন্তানরা যখন দেখবে তাদের পিতারাই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তখন সেখান থেকে ওই  সন্তান কি শিখবে? “যত পাই, তত চাই”, কত টাকা দরকার আপনার সমগ্র জীবনে? আপনিতো যা রোজগার করেছেন, তাতে আপনি, আপনার ঔরশজাত সন্তান, তাদের সন্তানরাও খেয়ে শেষ করতে পারবে না। তাহলে এত কিছুর কি প্রয়োজন। তবে মরে গেলে কি এসব অর্থ কবরে নিয়ে যাবেন। তাহলে? কেন এত অর্থ, এত লোভ, খুনা-খুনি, দাঙ্গা ইত্যাদি? “মুর্খ বন্ধুর চেয়ে শিতি শত্র“ ভাল” কথাটি এখন একদম বেমানান। শিতি মানেই বেকার, সন্ত্রান, ঘুষ, মাদক ইদ্যাদির সঙ্গে জড়িত হওয়া। অশিতি মানে দিন মজুর-জীবন সংগ্রাম, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানাদীর জন্য দু’মুঠো অন্য জোগাড় করা। সে ঘুষ, ইয়াবা, ফেনসিডিল, বিদেশী মদ, দামী হেরোইন, সুন্দরী নারী, ব্যানসন/ ব্লাক সিগারেট এর সঙ্গে জড়িত হবে কি করে? ”কোথায় সেখ সাদি কোথায় বকরির লাদি”। তাই শিতি মানুষেরাই যে এখন প্রধান বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত তা অনস্বীকার্য। এ থেকে রেহাই পেতে চাই কার্যকরী পদপে। আর তা না হলে এশীর মতো হাজারো মেয়ে তৈরী হবে তার জীবন্ত পিতাকে কবর দেয়ার জন্য এজন্য কোন সন্ত্রাসী ভাড়া করতে হবে না। সে নিজের প্রয়োজনেই কাজটি সুচারুরূপ সম্পাদন করতে সম হবে।
    আমরা যদি নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে সমাজ বিনির্মাণে আত্ম-প্রত্যয়ী হই তাহলে হবে না। সমাজের দায়িত্ব প্রশাসনের সাথে সাথে প্রত্যেককেই নিতে হবে। আজ যদি পার্শ্বের বাড়ীর ছেলেটা নষ্ট হয় তাহলে কাল আমার নিজেরটাযে হবে না তার নিশ্চয়তা কে দিবে? সেও সে একই পথে হাঁটবে।  আমরা শিক্ষিত হয়ে অশিক্ষিতের ন্যয় কাজ কারবার করে চলেছি হরহামেশা।
    তাই মাদক মুক্ত সমাজ বিনির্মাণে আমাদের প্রত্যেককে যত্মবান হওয়ার বিষয়টি ভেবে সরকারকে সহযোগীতা ও সু পরামর্শ দিতে হবে। তবেই মাদক মুক্ত শিক্ষিত সমাজ গড়া সম্ভবপর হবে।
আসবে কি আর তাদের সুন্দর ফুটফুটে চেহারাগুলো? এ নুংরা, বর্বর অখাদ্য থেকে দেশ ও জাতীকে রার্থে জনগণকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে বইকি?    

No comments:

Post a Comment