*গোদাগাড়ীতে ২০ গ্রাম হেরোইন সহ ১ জন মহিলা আটক* গোদাগাড়ীতে ৩১৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১জন ধৃত* রিভিউ খারিজ, প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলল* গোদাগাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণিকা-২০১৫ মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্বাচিত মেয়রদের সংবর্ধনা প্রদান*"

ব্যবসা-বাণিজ্য

 নতুন কোম্পানির মূলধন হবে ৫০০ কোটি টাকা
 শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য আলাদা যে কোম্পানি গঠিত হতে যাচ্ছে, তার পরিশোধিত মূলধন প্রস্তাব করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি নামে আলাদা এ কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া আইনও তৈরি করা হয়েছে। তা থেকেই কোম্পানিটির গঠন ও মূলধন-সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৬ অক্টোবর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ-সংক্রান্ত খসড়া আইনটি অনুমোদন করেছে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, নতুন কোম্পানির মালিকানার সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ দুই স্টক এক্সচেঞ্জ মিলে ধারণ করতে পারবে। আর নতুন গঠিত কোম্পানিটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তিন মাসের মধ্যে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে লেনদেন নিষ্পত্তি কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি দুই স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন নিষ্পত্তির সুরক্ষা তহবিলও নতুন কোম্পানিতে স্থানান্তরিত হবে। বর্তমানে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে সম্মিলিতভাবে এ তহবিলের জন্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা সংরক্ষিত রয়েছে।
খসড়া আইনটি মতামতের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জসহ (সিএসই) সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ২২ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে খসড়া আইনের ওপর তাদের মতামত দিতে বলেছে বিএসইসি। ওই সব মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করে আইনটি চূড়ান্ত করা হবে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সম্মিলিতভাবে ৭০ শতাংশ মালিকানা নিতে পারলেও এককভাবে কোনো স্টক এক্সচেঞ্জের ৪৯ শতাংশের বেশি মালিকানা থাকবে না। স্টক এক্সচেঞ্জ ছাড়াও সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, একাধিক ব্যাংক মিলে নতুন কোম্পানির ১০ শতাংশ মালিকানা ধারণ করতে পারবে। তবে এককভাবে কোনো ব্যাংকের ২ শতাংশের বেশি মালিকানা থাকতে পারবে না। একইভাবে বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের একাধিক প্রতিষ্ঠান মিলে ১০ শতাংশের মালিকানা নিতে পারবে। তবে এককভাবে এদের কারোরই ২ শতাংশের বেশি মালিকানা থাকতে পারবে না।
এর বাইরে সিডিবিএল এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারী যে কেউ চাইলে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ মালিকানা নিতে পারবে।
লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য গঠিত হতে যাওয়া নতুন কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সম্পর্কে খসড়া আইনে বলা হয়েছে, পর্ষদ হবে ১১ সদস্যের। যার সংখ্যাগরিষ্ঠ বা ছয়জনই হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক। মালিকানার অংশীদার দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে থাকবেন দুজন, বাকি দুজন থাকবেন অন্যান্য অংশীদার থেকে। এ ছাড়া পদাধিকারবলে নতুন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে থাকবেন।
এদিকে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য আলাদা কোম্পানি গঠিত হলে তাতে শেয়ারবাজারে লেনদেন-সংক্রান্ত ঝুঁকি অনেক কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, বর্তমানে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনের বিপরীতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ‘জিম্মাদার’ হিসেবে কাজ করছে। এ কারণে যদি কোনো ব্রোকারেজ হাউস লেনদেন নিষ্পত্তিতে অপারগ হয়, সে ক্ষেত্রে ওই ব্রোকারেজ হাউসের হয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ নিজে লেনদেন নিষ্পত্তি করে। এটি স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য একধরনের ঝুঁকি। এ ছাড়া ভবিষ্যতে স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন নতুন পণ্য যুক্ত হলে এ ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। তাই লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য আলাদা কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 গোদাগাড়ীতে ঈদুল আযহা উপলে জমে উঠেছে গরু ছাগলের হাট
জিনিউজ২৪ ডেস্ক: গোদাগাড়ীতে ঈদুল আযহা উপলে জমে উঠেছে গরু ছাগলের হাট। উপজেলার গোদাগাড়ী পৌরসভার আওতাধীন মহিশালবাড়ী গরুর হাট প্রতি সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার বসে। ইতোপূর্বে হাটটি বন্ধ থাকলেও ঈদুল আযহা উপলে নামতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন জাতের পশু। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যাপারিরা এসে গরু, ছাগল কেনার জন্য আসতে শুরু করেছে এ হাটে। অপরদিকে উপজেলার কাকনহাট পৌরসভার আওতাধীন কাকনহাট এটি গোদাগাড়ী উপজেলার একটি নামকরা হাট, সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটটি চলে। এতে করে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ট্রাক নিয়ে এসে গরু ক্রয় করে নিজ নিজ জেলায় নিয়ে যায় এবং ভোরের সূর্য উঁকি মারতে না মারতেই বিভিন্ন জেলা হতে আগত পশু নামতে শুরু হরে হাটটিতে। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যাপারীরা ছাড়াও উপজেলার পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জ, তানোর, মুন্ডমালা ও নওগাঁ থেকে সাধারণ মানুষ কুরবানী সহ যে কোন প্রয়োজনে এখানে গরু, ছাগল কিংবা ভেড়া ক্রয় করতে আসে। বৃহস্পতিবার বিকালে কাকনহাটে গিয়ে দেখা যায় যে,  সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত কাকনহাট ক্রেতা ও বিক্রেতার উপচে পড়া ভীড়। গরুর দাম আগেও তুলনায় একটু কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ কুরবানীর জন্য পশু ক্রয় করতে পারছে। চট্টগ্রাম জেলার ব্যাপারী সাত্তার জানান গোদাগাড়ীর এই কাকনহাট আমাদের এলাকায় সুপরিচিত এবং আমরা অনেক ব্যাপারী চট্টগ্রাম থেকে এসে এখানে গরু ক্রয় করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রয় করে থাকি। এতে করে আমরা অনেক সাবলম্বী। বাংলাদেশে অনেক হাট থাকলেও এই কাকনহাট সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত একটি আদর্শ হাট। এই জন্য আমরা এখানে পশু ক্রয় বিক্রয় করতে আমাদের কোন ভয় থাকে না। কাকনহাটের সুনামধন্য ইজারাদার সুজন আলী জানান, ঈদুল আযহা উপলে শুধু নয় সপ্তাহের একদিন বৃহস্পতিবার পশুর হাট হয়। সে েেত্র এইহাটে সব সময় ভাল বেচা কেনা হয়ে থাকে। তার কারণ এই হাটে কোন প্রকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হতে দেয় না। এমনকি ক্রেতা- বিক্রেতার সার্থে পুলিশ প্রশাসন, জাল টাকা সনাক্তকারী মেশিনের ব্যবস্থা রেখেছি। মুলত এই জন্যেই এই হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে যে ব্যাপারীরা পশু ক্রয়ের জন্য আসে। তাদেরও সার্বিক নিরাপত্তাবিধানে আমরা সদা সতর্ক। সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ক্রেতা-বিক্রেতার পশু ক্রয় করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছতে পারে এবং ভবিষ্যতেও পারবে বলে আমরা আশা পোষন করি, সে জন্য যা যা করা দরকার তা আমরা করব ইনশাআল্লাহ।



গোদাগাড়ীতে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে.
নায্যমূল্য না পাওয়ায় মাথায় হাত কৃষকদের

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি ঃ  রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কালবৈশাখির দুর্যোগ, শ্রমিক সংকটের ঝামেলা ঘাড়ে নিয়ে কৃষকরা কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে শুরু করলেও ধানের দাম না থাকায় আরো বেশি হতাশায় পড়েছে কৃষকরা। এ অঞ্চলে নতুন ধানের দাম ৫শ” টাকা থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা। নতুন ধানের চাহিদাও কম।
প্রতি বছরই বাড়ছে খরচ। বিপরীত দিকে কমছে ধানের দাম। আবার কালবৈশাখি ঝড়ে আবাদের কিছুটা তি হলেও ধানের দাম না থাকাই কৃসকেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছেনা।যার ফলে সোনালী ফলন মাঠ থেকে উঠানে উঠতে শুরু করলেও তৃপ্তির ছাপ নেই কৃষকের চেহেরায়।
বোরো আবাদ একেবারে সেচ নির্ভর হওয়ায় এবং শ্রমিক খরচ বেড়ে গেলেও কমেছে ধানের দাম। এবারেও এ অঞ্চলে ল্যমাত্রা ১৫ হাজার ৮শ’ ১০ হেক্টোর ধরা হলেও প্রায় ১৬ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে আবাদের শুরুতেই বীজের তীব্র সংকট, বীজতলা নষ্ট হওয়া, প্রয়োজনীয় ধানের বীজ না পাওয়া এবং বিদ্যুতের লোড শেডিং থাকলেও এবারে তার কোনটিই ছিল না। খুব ভালভাবেই আবাদ হয়েছে।এ অঞ্চলে আবাদে ল্যমাত্রা পূরণও হয়েছে।
 উপজেলার তেরপাড়া  গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, তিনি এ বছর প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ধান ঝরে গেলেও শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে প্রায় দিগুণ হারে। তার উপরে বাজারে দাম কম থাকায় হতাশায় পড়তে হচ্ছে।
 পৌর এলাকার রাম নগর গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে তার ধান কাটতে দেরি হচ্ছে। নিচু জমির ধানগুলো পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকের দাম বেশি অপর দিকে ধানের দাম কম থাকায় হতাশ হতে হচ্ছে।
 উপজেলার পিরিজ পুর  গ্রামের কৃষক গোলাম রসুল জানান, লিজের জমিতে এবার বোরো আবাদে ১৬-১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে ২০ মণের বেশী ফলন হচ্ছে না। আবা কালবৈশাখির দুর্যোগের সময় ধানের খড় বা আউড় তৈরী করা যায় না। বৃষ্টিতে পচে যায়। তাই এই সময়ের খড়ের কোন দাম থাকেনা। তাই ধানের বাজারের ওপরই লাভ-লোকসান নির্ভর করছে। যেভাবে ধানের দাম পড়ে যাচ্ছে তাতে চাষির লোকসান হবে।
কৃষিবিদদের মতে, বর্তমান বাজার দর কম হওয়ার কারণ হিসেবে  ভারত থেকে চাল আমদানিকে দায়ী করছেন। সে কারণে ধান কেনার প্রতি চাহিদা না থাকায় দামের এমন বেহাল দশা।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোজদার হোসেন জানান, এবারে বোরোতে সময় মত সেচ সুবিধা পাওয়ায় ফলন ভাল হয়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে করার কিছুই নাই। কাঁচা ভেজা জন্য ধানের দাম কম। শুকালে ধানের দাম বাড়বে।

গোদাগাড়ীতে এসিআই বীজ কোম্পানীর কৃষক সমাবেশ
জিনিউজ ২৪ ডেস্ক: গোদাগাড়ীতে এসিআই বীজ কোম্পানীর আয়োজনে টমেটো চাষিদের নিয়ে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে সিএন্ডবি মোড়ে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সাজদার রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার ড. সাইফুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন, এসিআই বীজ কোম্পানীর ন্যাশন্যাল সেল্স ম্যানেজার সারফুদ্দীন আহমেদ। সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত টমেটো চাষিদের টমেটোর বীজ, চারা রোপন, ফল পাকানো ও বাজারজাত করণ বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়।
গোদাগাড়ীতে এসিআই বীজ অপূর্ব হাইব্রিড জাতের চারা রোপনের পর উৎপাদিত পরিপক্ক ও কাঁচা টমেটো তাদের নিজস্ব বিপনন কেন্দ্র স্বপ্নতে বাজার মূল্যে মাঠ থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে জানান। এছাড়া এবছর উপজেলার ২০ জন কৃষককে প্রতি ৫ শতক জমিতে টমেটো চারা লাগাতে যে পরিমাণ বীজ প্রয়োজন এসিআই কোম্পানী ফ্রান্স থেকে আমদানিকৃত অপূর্ব হাইব্রিড টমেটো বীজ বিনামূল্য দেওয়ার ঘোষণা দেন। সমাবেশে প্রায় ৫শ কৃষকসহ স্থানীয় সাংবাদিক, কোম্পানীর অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ ও পরিবেশকরা উপস্থিত ছিলেন।  ## ২৫/৮/২০১৪

No comments:

Post a Comment