*গোদাগাড়ীতে ২০ গ্রাম হেরোইন সহ ১ জন মহিলা আটক* গোদাগাড়ীতে ৩১৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১জন ধৃত* রিভিউ খারিজ, প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলল* গোদাগাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণিকা-২০১৫ মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্বাচিত মেয়রদের সংবর্ধনা প্রদান*"

দেখার কেউ নাই

 ১৮৯ মামলায় ২১৯ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার গোদাগাড়ীতে এক বছরে ৬ কোটি ১৪ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার
পিরিজপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় গত এক বছরে ৬ কোটি ১৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার হেরোইন-ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এই মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ১৮টি করে গোদাগাড়ী থানায় মোট মামলা হয়েছে ১৮৯টি। এর বিপরীতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২১৯ জন মাদক ব্যবসায়ী। গোদাগাড়ী থানা সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা রাজশাহীর এই উপজেলাটিতে ২০১৪ সালে মোট ১১ কেজি ৫৪৪ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে শুধু থানা পুলিশই উদ্ধার করেছে ২ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার ৫ কেজি ৩৩৮ গ্রাম হেরোইন। অপরদিকে গোদাগাড়ীতে এক বছরে মোট ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার ১৩২ বোতল। যার মূল্য প্রায় ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে শুধু পুলিশ উদ্ধার করেছে ১৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার ৩ হাজার ৩৬৬ বোতল ফেনসিডিল। গোদাগাড়ী থানায় গত বছরে ফেনসিডিল চোরাচালানের মোট মামলা হয়েছে ৩৬টি। এতে আটকও হয়েছে ৩৬ জন। এর মধ্যে শুধু পুলিশ ৩১টি মামলায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
অপরদিকে গোদাগাড়ীতে এক বছরে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ১৪ লাখ ৮১ হাজার ৪’শ টাকার মোট ৪ হাজার ৯৩৮ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে। তবে গত বছর উদ্ধারকৃত ৭১ হাজার ৮৯০ টাকার ৭ কেজি ১৮৯ গ্রাম গাঁজার প্রায় সবটুকুই উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাত্র ১’শ গ্রাম গাঁজা অন্য বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করেছে। এছাড়া পুলিশ ২২ হাজার ৫’শ টাকার ১৫ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করলেও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা বিদেশী মদ উদ্ধার করতে পারেনি। তবে অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা ২ হাজার টাকার জাল নোট ও ৪ লাখ ৯৮ হাজার ২২০ ভারতীয় রুপি উদ্ধার করলেও পুলিশের তা নেই। অন্যদিকে ২৬ হাজার টাকা মূল্যের ৫২০ লিটার চোলাই মদের মধ্যে ৪৯২ লিটারই উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় ২০১৪ সালে গোদাগাড়ী থানায় মোট ১৮৯টি মামলায় ২২৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে ১২৬টি মাদকের মামলা করে ১৪৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই গোদাগাড়ী থানার বর্তমান ওসি এসএম আবু ফরহাদ যোগদানের পর এখানে মাদকের মামলা ও উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ বেড়েছে। গত বছরের জুলাই পর্যন্ত প্রথম ৭ মাসে গোদাগাড়ী থানায় মোট মাদকের মামলা হয়েছে ৫৪টি। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৯ জন। তবে শেষ ৫ মাসেই থানায় মাদকের মামলার পরিমাণ ৭২টি। আটক হয়েছেন আরও ৭৬ জন। এছাড়া প্রথম ৭ মাসে হেরোইন উদ্ধার হয়েছে মাত্র ১ কেজি ৮৮৩ গ্রাম। তবে পরের ৫ মাসেই হেরোইন উদ্ধার হয়েছে ৩ কেজি ৪৭০ গ্রাম। এছাড়া আগের ওসি আবু মোকাদ্দেম আলী থাকাকালীন সময়ে জানুয়ারী থেকে জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হলেও সেসময় কোন ইয়াবা আটক হয়নি। তবে পরবর্তী ৫ মাসেই ওসি এসএম আবু ফরহাদের সময় ১ হাজার ৬৫৮ বোতল ফেনসিডিলের পাশাপাশি ৩৭৮ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হয়েছে।
ওসি এসএম আবু মোকাদ্দেমের সময় ২০১৪ সালের প্রথম সাত মাসে থানায় মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজার ২’শ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়। পরবর্তী ৫ মাসে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয় ১ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪০ টাকার। অর্থাৎ দুই মাস কম সময়েও ওসি এসএম আবু ফরহাদের সময় ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৪০ টাকার বেশি মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে। গত বছরের মাদক কেন্দ্রীক গোদাগাড়ীর আলোচিত ঘটনা ছিলো পুলিশের তালিকায় এক নম্বরে থাকা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শীষ মোহাম্মদ ওরফে শিষু ও দুই নম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে হেরোইনসহ গ্রেপ্তারের ঘটনা। শীষ মোহাম্মদ সম্প্রতি আদালতে জামিন পেলেও জাহাঙ্গীর আলম এখনও কারাগারে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা জাতীর শত্র“, তাঁদের কোন ছাড় নেই। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে মাদক চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আগামীতে আরও বেশি অভিযান চালানো হবে।






পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবন্টনকে কেন্দ্র করে
গন্ডগোল, ১জন নিহত, জেলে প্রেরণ ২

জি নিউজ ২৪ ডেস্ক: গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড়মানিকচক গ্রামে আইল সীমানাকে কেন্দ্র করে রকিবুর ও কামু সেতাউরের আপন ভাই, উজ্জ্বল ও সাহেব আলী সেতাউরের আপন ভাতিজা, রকি ও রানা, রকিবুরের জামাই, পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবন্টনকে কেন্দ্র করে সেতাবুর রহমানের সাথে রাকিবুর ও কামুর দীর্ঘদিন হতে বিরোধ চলছিল এই বিরোধকে কেন্দ্র করে, দিয়ারমানিকচক গ্রামের রকিবুরের ছেলে উজ্জ্বল (২৯),  মৃতঃ অয়েজ উদ্দীন এর ছেলে কামু (৫০), সেতাবুরকে মারার পরিকল্পনা করে। ইং ১ জুন তারিখ দিবাগত রাতে গ্রামের মসজিদে এশার নামাযের জামাত শেষ হওয়ার পর রাত ৯ টার দিকে সেতাবুর রহমান মসজিদে গিয়ে লুৎফরের সাথে ২জনে জামায়াত করে মসজিদের বারান্দায় ফরজ নামায আদায় করছিল তারপর সেতাবুর রহমানকে নামাযে সেজদা থাকাবস্থায় উজ্জ্বল পূর্ব পরিকল্পনামতে হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে, বেআইনি জনতাবদ্ধে মসজিদের সামনে আসে এবং উজ্জ্বল একটি হাসুয়া হাতে মসজিদের বারান্দায় প্রবেশ করে সেতাবুরের বাম পায়ে হাসুয়ার কোপ মারে ফলে সেতাবুরের বাম পায়ের গোড়ালির উপরের রগ কেটে গুরুতর রক্তাক্ত হয়। ওই সময় লোকজন এগিয়ে আসলে সেতাবুরকে যে কোন সময় প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে পলায়ন করে। এর কিছুদিন পর সেতাবুর রহমানের ছেলে মানিককে গোদাগাড়ী রেলবাজারে রাকিবুরের জামাই রানা সহ আরো অনেকে একাকি পেয়ে আবারো মারধর করে প্রাণনাশের চেষ্টা চলাকালে সাধারণ জনতার বাধারমুখে পড়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এদিকে ৪ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে সেতাবুরের ছেলে মানিক (২৫) জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে গেলে মৃত অয়েজ উদ্দীনের ছেলে কাইয়ুম, কামু, রাকিবুর, রাকিবুরের ছেলে উজ্জল, রাজপাড়া থানার হারুপুর গ্রামের সয়জুদ্দিনের ছেলে রানা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারধর করে এবং কামু তার হাতে দাউলি (নিরানী) দ্বারা মানিকের বুকে আঘাত করলে সে মুমূর্ষ অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে নুইয়ে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলের পার্শ্বে জমিতে কাজ করা লেবারেরা মানিকের ডাক চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তাৎণিক গোদাগাড়ী ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশ্যে নেওয়া হলে সয়জুদ্দীনের ছেলে রানা (৩০) সহ তার বাহীনি নিয়ে গোদাগাড়ী মেডিকেল গেটে প্রায় ২ ঘন্টা গাড়ীর পথ রোধ করে রাখে। পরে তার আত্মীয়-স্বজনের সহযোগীতায় মানিককে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেদিনই রাত ৯টার দিকেই হাসপাতালেই মানিকের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় জনগণের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন কামু ও রানা হচ্ছে মাস্তান, বখাটে টাইপের লোক। প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে সর্বদায় মানুষকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। ময়নাতদন্ত শেষে মানিককে স্থানীয় জনতা ও তার আত্মীয়-স্বজনের সহযোগীতায় দিয়াড়মানিকচক গ্রামে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় অয়েজুদ্দীনের ছেলে কামু (৫০) ও সয়জুদ্দীনের ছেলে রানা (৩০) কে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বলে গোদাগাড়ী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে।  এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ## ১৯/১০/২০১৪


প্রেম অতপর বিয়ে ঘটনার জের ধরে
গোদাগাড়ী দাখিল মাদরাসায় মারামারিতে ১০জন আহত
জি.নিউজ২৪ ডেস্ক: গোদাগাড়ী দাখিল মাদরাসায় মারামারিতে ১০জন আহত হয়েছে। তিন মাস পূর্বে ওই মাদরাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী জলাহার গ্রামের জাফর আলীর মেয়ে বিউটি খাতুন ও  হঠাৎপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র তমাল বাড়ী থেকে বের হয়ে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে। এরই জের ধরে গত শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মেয়ের বাবা ছেলের মাদরাসায় দাখিল টেস্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহণে উপস্থিতি টের পেয়ে  জলাহার গ্রামের জাফর আলী (৬৫), তার ছেলে তাসেম আলী (৪৩), হোসেন আলী (২৮), রুহুল আমিন (২৫), একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে নাসির উদ্দীন (৪০), কাওসার আলী (৩৫), আজম আলী (৩০), জবেদ আলীর ছেলে কাইয়ুম আলী (৫০), সাদিকুল ইসলাম (৩৫) শামীম (৩০), তামেজ আলীর ছেলে খোকা (৩০) সহ অনেকেই মাদরাসায় অস্ত্র শস্ত্র সহ মাদরাসায় প্রবেশ করে তমালকে এলোপাথাড়ীভাবে মারধর করে পা হাত ভেঙ্গে দেয়। এ সময় মাদরাসার শিক ও অন্যান্য ছাত্ররা তাদের নিষেধ করলেও তারা নিষেধ না শুনে তমাল, শওকত (শিক), ওই মাদরাসার সুপার মাওঃ শোয়াইবুর রহমান, ফাইজুল্লাহ, মামুন অর রশিদ সহ আরো অনেককে মারধর করে। এতে করে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তখরণ হতে দেখা গেছে। ওই মাদরাসার শিক শওকত আলীর কাছে জানতে চওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা টেস্ট পরীার কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ করে জাফর আলী সহ ৫/৬ জন ব্যক্তি লোহার রড, হাসুয়া, লাঠি সোটা সহ মাদরাসায় প্রবেশ করে তমালকে ডেকে মারধর আরম্ভ করে আমরা নিষেধ করতে গেলে আমাদেরকেও মেরে জখম করে। তবে জখমীরা বর্তমানে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ডাক্তার আব্দুল কায়েস। এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। ## ১৮/১০/২০১৪

 

গোদাগাড়ীতে ফেন্সিডিলসহ আটক ১
জিনিউজ ২৪ ডেস্ক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ১১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ শামিম নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার মাধবপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মাদক ব্যবসায়ী শামিম চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ছয় রোশিয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
           পুলিশ জানায়, সোমবার ভোর ৫ টার দিকে মাদক ব্যবসায়ী শামিম চর ছয় রোশিয়া থেকে নৌকায় পদ্মানদী পার হয়ে মাধবপুর এলাকা দিয়ে প্লাস্টিকের সাদা বস্তায় ১১০ বোতল ফেন্সিডিল সাইকেলে করে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাজশাহী নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী থানা পুলিশের টহল দল তাকে ধাওয়া করে আটক করে।
         এ বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আবু ফরহাদ হোসেন বলেন, আটক মাদক ব্যাবসায়ী শামীমের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গোদাগাড়ীতে প্রেমিক যুগল আটক
মামলা না করতে ধর্ষিতাকে নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন
শরিফুল ইসলাম, প্রতিনিধি: গোদাগাড়ীতে প্রেমিক যুগলকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। জানা যায় উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কলিপুর গ্রামের রাসেলের স্ত্রী ও ১ সন্তানের জননী রাবেয়া বেগম (২২), গোদাগাড়ী পৌরসভার ফাজিলপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত্যু সেন্টু মেম্বারের ২য় ছেলে আবু তালেব (২৩) গত শনিবার রাত ৯’টার সময় রাসেলের বাড়ীর পার্শ্বে কলা বাগানের ভিতরে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয় ১০/১৫ লোক দেখতে পেয়ে হাতে নাতে ধরে ধরেফেলে। পরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তাৎনিক কলিপুর আলোর দিশারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কে দু’জনকে আটকিয়ে রাখে এবং স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চালায়। তবে ছেলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কলা খেয়ে চুকা ফেলে দিতে চায়। এমতাবস্থায় গতকাল রবিবার গোদাগাড়ী মডেল থানাকে খবর দিলে সকাল ১০টার দিকে এস.আই রুহুল আমিন-১ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর কথা শুনে ওই প্রেমিক যুগলকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। এদিকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে থানায় খবর সংগ্রহ করতে গেলে প্রভাবশালী ছেলে প নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের হুমকি দেয়। মেয়েটির সেরকম কোন আত্মীয় না থাকায় তার পে কোন মামলা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন ধর্ষিতা ওই মেয়েটি। এ নিউজ লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় এস.আই রুহুল-২ প্রতিপরে নিকট থেকে মোটা অংকের বখরা নিয়ে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার তালবাহানা করছে।  


গোদাগাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৫জন
জিনিউজ২৪ডেস্ক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চাঁপাই-রাজশাহী মহাসড়কে ডোমকুলি অভয়া মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ২জন নিহত ও আহত ৫জন। জানা যায় গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ওয়েস্টার্ণ ট্রাভেল্স ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৬২২৪ গাড়ীটি গোদাগাড়ী থেকে চাপাঁইগামী ভুটভুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে ঘটনাস্থলে উপজেলার রাহী গ্রামের আব্দুল মতিন (৬০) নিহত হন। অপর দিকে চাঁপাই নবাবগঞ্জের গোপালপুরের তফজুলের পুত্র জিয়া (৩৫), গোদাগাড়ীর সরমংলা গ্রামের আনসারের ছেলে শাহাদাত (৩১), আইহাই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আনোয়ার (৬৫), চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মহবুলের ছেলে আব্দুল করিম (৪০), একই উপজেলার নামোজগতপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে জাহিদুর রহমান (৬৫), লালবাগ গ্রামের শামসুলের ছেলে আলমগীর (১৭) গুরুতর আহত হলে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডেকিলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গোদাগাড়ী থানা সূত্রে জানা যায় এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। দুর্ঘটনায় কবলিত টেম্পু ও ঘাতক বাসটিকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরো ৩জনের মৃত্যুর আশংকা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

 গোদাগাড়ীতে ৪শ মিটার অবৈধ লাইন নিমার্ণ
অভিযোগ অস্বীকার আবাসিক প্রকৌশলীর
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) সংবাদদাতাঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে অবৈধভাবে ৪শ মিটার পিডিপির লাইন নিমার্ণ নিয়ে  গুজাব ওঠেছে। এমন কি এই লাইনকে কেন্দ্্র করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় প্রতিবন্ধী মোঃ মফিজুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন মোটা অংকের বিনিময়ে তারা রাতারাতি ঝুঁকিপুর্ণ পিলার ও বৈদ্যুতিক তার দিয়ে গোদাগাড়ী পিডিপির সম্প্রতি বদলী হওয়া আবাসিক প্রকৌশলীর সাথে বখরার মাধ্যমে লাইনটি রাতারাতি নির্মিত হয় এবং পরস্পর হিংসার কারণে প্রতিবন্ধি মফিজুলের আবাসিক বাড়ির লাইন পার্শ্ববর্তী লোকজন পিলার থেকে মফিজুলের অজান্তে টেনে ছিঁড়ে ফেলে দেয়। এতে করে প্রতিবন্ধী মফিজুল ইসলাম এর  ছেলে-মেয়েদের লেখাপাড়া অসুবিধা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী মফিজুল ইসলাম গোদাগাড়ী মডেল থানায় ১১/০২/২০১৩ ইং তারিখে অভিযোগ করেন এবং উক্ত অভিযোগের কাগজ গোদাগাড়ী পিডিপি বিদ্যুত অফিসে এক কপি জমা হয়েছে। দুই দিন পার হয়ে গেলও পিডিপি অফিস এই ব্যাপরে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। গোদাগাড়ী পিডিপির এক্সিকিউটিভ ইঞ্জি: আব্দুল কুদ্দস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন বলেন কুদ্দুস সাহেব নাই। এবং আমাদের কাছে কোন মোবাইল নম্বর নাই। স্যার আমাদের কে মোবাইল নম্বর দিতে মানা করেছে। এবং সেকেন্ড বাবু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন আমার এই লাইনের ব্যাপরে কিছু জানি না এবং কিছু বলতে পারবো না। তবে অবৈধ টাকার ব্যাপরটি আমি শুনেছি। এই ব্যাপরে গোদাগাড়ী মডেল থানার এ.এস.আই হাসান প্রতিবেদককে জানান তিনি সরেজমিনে গেয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। প্রতিবন্ধী মফিজুল  ইসলাম প্রতিবেদককে আরো জনান আমি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ তার পরও বিদ্যুৎ নিতে গিয়ে ঘুষের টাকা  দিতে হয়েছে। তারপরও এই গোদাগাড়ী পিডিপি অফিসে আমাদের অবৈধভাবে নাম রয়েছে। ২/৩ দিন পার হয়ে গেলও গোদাগাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে।
বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়টিতে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় কাস চলছে
 শরিফুল ইসলাম, গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থা চলছে ছাত্র/ছাত্রীদের কাস। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৫০ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম স্থানে রয়েছে উক্ত বিদ্যালয়টি। অত্র বিদ্যালয়ে ৪শ ৩৪জন ছাত্র/ছাত্রী লেখা-পড়া করে। পাশের তুলনায় শতকরা ১০০% হলেও ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং এর কারণে লেখাপড়ায় মনোযোগ নেই শিার্থীদের। গতবছর এস.এস.সি পরীা ৪জন গোল্ডেন এ প্লাস সহ ৮জন পেয়েছে জিপিএ-৫। মজিবুর রহমান বলেন, পুরো বিল্ডিংটির পুরো সাইড ফেটে গেছে এবং ছাদের সিমেন্ট ঝরে ছরে পড়ছে। এব্যাপারে অত্র স্কুলের সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লেখা-পড়ার মান আগের তুলনায় অনেক ভাল। কিন্তু বিন্ডিংটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ছাত্র/ছাত্রীরা  কাসে বসে লেখাপড়া করতে ভয় পাচ্ছে। ১৬ নভেম্বর বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে মাননীয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্জ ওমর ফারুক চৌধুরী উক্ত বিল্ডিংটি দেখে বলেন আরা শিঘ্রই বিল্ডিংটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব। এর পর প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোন এ ব্যাপারে কোন পদপে নেই সরকারের। খোজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলটিতে জাতীয় সংগীত, খেলা-ধুলা সহ জাতীয় প্রতিটি দিবস অত্যন্ত যতœ সহকারে পালন করা হয়।  এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেদককে একজন অভিভাবক বলেন, এখানকার স্কুলের লেখা-পড়ার মান খুব ভাল, পড়া-শুনার পরিবেশ সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা অনেক ভাল। অভিজ্ঞ শিকমন্ডলী ও সভাপতি দ্বারা স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে স্কুলের বিল্ডিংটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা ছেলে/মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাই। যাতে করে অতি শীঘ্রই এই স্কুলের বিল্ডিংটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয় সে জন্য সরকারের প্রতি আমরা জোর দাবি জানাই।

 স্বাধীনতার ৪১ বছরেও আব্দুল খালেকের মিলেনি বীর বিক্রম সনদ    অনুসন্ধানী চোখ:  মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪১ বছর অতিবাহিত হলেও রাজশাহীর একমাত্র বীর বিক্রম যুদ্ধাহত আব্দুল খালেকের মিলেনি সনদ ও সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা চাপাল গ্রামের মৃত কামির মন্ডলের পুত্র আব্দুল খালেক (প্রাক্তন নেভি) ৭ নং সেক্টরের ৪ নং সাবসেক্টরের অধীনে নিজের জীবন বাজি রেখে পাক বাহিনী ও এদেশের দোসর রাজাকার আল-বদর আল শামসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন আগষ্ট মাসের কোন এক রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলীর জনৈক চেয়ারম্যানের বাড়ীতে গড়ে উঠা রাজাকারদের ক্যাম্পে আক্রমণ করার সময় রাজাকারদের গুলিতে গুরুতর আহত হন বীর বিক্রম আব্দুল খালেক। পরবর্তীতে ৩দিন এক আদিবাসির বাড়ীতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকার পর সহ যোদ্ধারা ভারতে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং ভাগ্যক্রমে জীবন ফিরে পান বীর বিক্রম আব্দুল খালেক। আহত হওয়ার পূর্বে বিদিরপুর (১২মাইল) ব্রিজ, অভয়া ব্রিজ সহ বেশ কয়েকটি সফল মিশন সম্পন্ন করেন। এরই ফলস্বরূপ অন্যান্য বীর সন্তানদের ন্যায় ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের প্রথম গেজেটে বীর বিক্রম খেতাব দেওয়া হয় আব্দুল খালেক কে। যাহার বীর বিক্রম সিরিয়াল নং- ৬২। ১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রথম বারের মত বীরত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতিক প্রাপ্তদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক প্রদানের তালিকায় ছিল বীর বিক্রম আব্দুল খালেক। তৎসময় মন্ত্রী পরিষদের সচিব মোঃ আইয়ুবুর রহমান স্বারিত তালিকা সূত্রে জানা যায়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪১ বছরেও সনদ সহ সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ জেলার একমাত্র বীর বিক্রম। বীর বিক্রম আব্দুল খালেকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর বিক্রম খেতাব তার অজানায় ছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবর-২০১১ সালে প্রকাশিত দৈনিক কালের কন্ঠে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এর উদ্দ্যোগে ৬৮ জন হারিয়ে থাকা খেতাব প্রাপ্তদের সন্ধানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তিনি জানতে পারেন তার উপাধির কথা। এ সময় তিনি বলেন, তার নৌবাহিনীর নম্বর ৬৩০২১৯ থাকলেও ভুলক্রমে ৬৩০২৯১ হওয়ায় তার বীর বিক্রম উপাধির সনদ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ গড়িমশি  করে চলেছে। অথচ নৌবাহিনী সদর দপ্তরের প্রত্যয়নপত্রে যাহার স্মারক নং ০৬, ০২, ২৬২৬, ১৪১, ১৬, ২৫৪, ১২, ৪৯৯ সূত্রে জানা যায় ৬৩০২৯১ নম্বরধারী তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানীর নাগরিক এবং বীর বিক্রম আব্দুল খালেককেই নৌবাহিনী সদর দপ্তর নিশ্চিত করেন। আবেগজড়িত কন্ঠে বীর বিক্রম আব্দুল খালেক যাতে উক্ত সনদ পত্র পায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে হন্তপে কামনা করেছেন।

গোদাগাড়ীর বিভিন্ন হাটবাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ কিনার না থাকায় 
পরিবেশ অনেকটাই ভারসাম্যহীন
গোদাগাড়ী নিউজ ২৪ ডেস্ক: গোদাগাড়ীর বিভিন্ন হাটবাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ কিনার না থাকায় পরিবেশ অনেকটাই ভারসাম্যহীনতায়। উচ্চ পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায়, বাজার থেকে গ্রাম সর্বত্রই পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। সর্ব প্রথম যেটি না বললেই নয়, তা হচ্ছে উপজেলা প্রবেশদ্বারের সাঁকোর দু’ ধারে গোদাগাড়ী পৌরসভার রাস্তা ও ড্রেন পরিস্কারের সমস্ত ময়লার স্তুপ গাড়ীতে করে নিয়ে এসে এখানে ফেলা হয়। ফলে সর্বদা মশা মাছি ভোঁ ভোঁ করতে দেখা যায়। উপজেলা ভবনের পূর্বে ন্যাশনাল ব্যাংকের পিছনে মাগরীবের পর মাদক সেবীদের চলে আডডা। গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আয়া ও কিনার না থাকায় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো সর্বদা নোংরা হয়ে থাকে। বাথরুমগুলো কতদিন আগে পরিস্কার করা হয়েছে তা কারো জানা নেই। বাথরুমের দূর্গন্ধে ওয়ার্ডে রোগীদের থাকতে অসুবিধা হয়। পানি আনতে যেতে হয় পাশের বাড়ীতে। এদিকে পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় কসাইরা গরু যবেহ করে এবং এর বিষ্ঠাগুলো বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখে এছাড়াও বয়লার ব্যবসায়ীরা মুরগীর লোম পরিস্কার করে পাশে ফেলে রাখে। ফলে ওই এলাকায় দূর্গন্ধে বাস করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। গোদাগাড়ী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ড্রেনগুলো সময় মত পরিস্কার করা হয়না। ড্রেনগুলো ময়লায় ভর্তি হয়ে গেলেও পরিস্কার করার উদ্যোগ নেই পৌর কর্তৃপরে।  অনেক জায়গায় দেখা গেছে ড্রেনে মলমুত্র ত্যাগ করা হচ্ছে। আবার অনেক েেত্র দেখা যায় রাস্তা পরিস্কারের ময়লা আবর্জনা ড্রেনে ফেলা হচ্ছে, যার কারণে সর্বদা ড্রেনগুলো ময়লায় ভর্তি হয়ে থাকছে এবং এতে করে মশা মাছির প্রজনন কেন্দ্র তৈরী হয়েছে। ডাইংপাড়া বাজারের বিভিন্ন রাস্তাগুলো প্রায় সময় ময়লা আবর্জনায় ভর্তি হয়ে থাকে। কাঁচা বাজারের পার্শ্বে পোল্ট্রি দোকানে মুরগী, মুরগীর লোম, বিষ্ঠা খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখায় এখানে দূর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে হাটতে হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের প্রবেশ দ্বারের ৩টি পথেই ফেলা হয় বাজারের সমস্ত ময়লা। তার পরেও কোন সময় বলেননি কেন ফেলা হচ্ছে এখানে ময়লা? এদিকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সকল ড্রেনগুলোতে ময়লা ভর্তি হয়ে মাসের পর মাস জ্যাম হয়ে থাকে থাকলেও পরিস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়। উপজেলার ডাইংপাড়া, সুলতানগঞ্জ, মহিশালবাড়ী, পিরিজপুর, বিদিরপুর, রাজাবাড়ীহাট, কাকনহাট সহ বিভিন্ন বাজারের দোকান ঘর পরিস্কার করে এর ময়লা ও আবর্জনা রাস্তার মাঝে ফেলে রাখা হয়। এদিকে মহিশালবাড়ী মহিলা কলেজ মাঠে, শাহসুলতান (রহ) কামিল মাদরাসা মাঠে ও গোদাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে চলে মাগরীবের পর মাদক সেবীদের আডডা। পান,সিগারেট বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে সহজেই ফেন্সিডিল ও গাঁজা পাওয়া যায় বলে জানা যায়। এখানকার শিতি অশিতি, বেকার যুবক, রিক্সা চালক, গাড়ীর ড্রাইভার প্রায় সকলেই মাদক সেবন করে এবং মাদক সেবন শেষে বোতল যেখানে সেখানে ফেলে রাখে। গোদাগাড়ী মডেল থানার প থেকে মাঝে মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ফলে বেড়েই চলেছে দিন দিন মাদক সেবনের হার। এতে পরিবেশের চরম তি হয়। এ দূরাবস্থা থেকে রা পেতে এবং পরিবেশের ভারসাম্যতা রার্থে চাই প্রশাসনের কার্যকরী পদপে। ## ২৫-১-১৩

No comments:

Post a Comment