*গোদাগাড়ীতে ২০ গ্রাম হেরোইন সহ ১ জন মহিলা আটক* গোদাগাড়ীতে ৩১৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১জন ধৃত* রিভিউ খারিজ, প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলল* গোদাগাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণিকা-২০১৫ মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্বাচিত মেয়রদের সংবর্ধনা প্রদান*"

বিনোদন

আছে কফি হাউজ, আছে আড্ডা, নেই মান্না দে
মজমাট আড্ডার কথা। গানে গানে শুনিয়েছিলেন আড্ডার সেই বৃন্ত থেকে একে একে পাপড়িগুলো ঝরে যাওয়ার গল্প। কলকাতার কলেজ রোডে কফি হাউজের আড্ডাটা এখনও জমজমাট। নেই সেই মান্না দে। দুই বছর পার হলো পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন কিংবদন্তি এ সঙ্গীতশিল্পী। ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর ব্যাঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মান্না দে।

তার গাওয়া ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গানটি যেন অনেকেরই হৃদয়ের হাহাকার যন্ত্রণাকে প্রকাশ করেছে। এখনও কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে অনেকেই আনমনে গাইতে থাকেন গানটি। এ গান নিয়েই এখন বসে আড্ডার আসর। কলকাতার কফি হাউজ থেকে ঢাকার টিএসসি, সব জায়গায় সমানতালে জনপ্রিয় মান্না দে’র গাওয়া এ গানটি।

তিনি চলে গেছেন, কিন্তু তার গাওয়া আবার হবে তো দেখা, এই কূলে আমি/আর ওই কূলে তুমি, তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঝড়, যদি কাগজে লেখো নাম, সে আমার ছোট বোনসহ অসংখ্য কালজয়ী গান এখনও আমাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গে মিশে আছে।

গুণী এ সঙ্গীতশিল্পীর জন্ম ১৯১৯ সালের ১ মে কলকাতায়। তার আসল নাম প্রবোধ চন্দ্র দে হলেও দীর্ঘ ষাট বছরের সংগীতময় জীবনে ‘মান্না দে’ নামেই খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্রে দারুণ জনপ্রিয়তা পান তিনি। সংগীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন।

মান্না দে’র পড়ালেখা শুরু হয় ‘ইন্দু বাবুর পাঠশালা’ নামের একটি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দে এবং ওস্তাদ দবির খানের কাছ থেকে গানের হাতেখড়ি হয় তার।

১৯৪২ সালে কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দের সঙ্গে মুম্বাই যান তিনি। সেখানে শুরুতে কৃষ্ণ চন্দ্র দের অধীনে সহকারী হিসেবে এবং তারপর শচীন দেব বর্মণের (এসডি বর্মণ) অধীনে কাজ করেন। পরে তিনি অনেক স্বনামধন্য গীতিকারের সান্নিধ্যে আসেন এবং তারপর স্বাধীনভাবে নিজেই কাজ করতে শুরু করেন।

মান্না দে’র গাওয়া জনপ্রিয় বাংলা গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- কফি হাউজের সেই আড্ডা, সবাই তো সুখী হতে চায়, যদি কাগজে লিখ নাম, পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেইদিন, কতদিন দেখিনি তোমায়, এ কূলে আমি, কথা দাও, খুব জানতে ইচ্ছে করে, আমি সারারাত, এ নদী এমন নদী, মাঝরাতে ঘুম, এই আছি বেশ, এই রাত যদি, কি এমন কথা, ক’ফোঁটা চোখের জল, সে আমার ছোটবোন, দীপ ছিল শিখা ছিল, যদি হিমালয়-আল্পসের সমস্ত জমাট বরফ, শাওন রাতে, আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে, স্বপ্নে বাজেগো বাঁশি, তীর ভাঙা ঢেউ, না না যেও না, তুমি আর ডেকো না, সুন্দরী গো দোহাই দোহাই।


কর্মজীবী মহিলারা জেনে নিন শরীরটাকে ফিট রাখার গোপনসূত্র


 কর্মজীবী মহিলারা ঘর সংসার এবং কর্মক্ষেত্র দুটো একসাথে সামাল দিয়ে নিজের জন্য একেবারেই সময় বের করে নিতে পারেন না। আর সেকারণেই ফিট থাকা সঠিকভাবে হয়ে উঠে না। সারাদিন অফিসে বসে থেকে কাজ, খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন অনেকেই। কিন্তু একটু সতর্ক থাকলে এতো ব্যস্ততার মাঝেও নিজের শরীরটাকে ফিট রাখার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন বেশ সহজেই। ভাবছেন কীভাবে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কিছু গোপন সুত্র।
১) পুরো দিনই এক জায়গায় বসে না থেকে অফিসেই কিছুটা হাঁটাহাঁটি করে নিন। অন্তত প্রতি ২০ মিনিট পরপর উঠে ৫ মিনিট হেঁটে আসুন।
২) হাতের কাছে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। তাড়াহুড়ো করে অস্বাস্থ্যকর নাস্তা না করে সবসময় হাতের কাছে ফলমূল, বাদাম ধরণের খাবার রাখুন।
৩) ছোটোখাটো শারীরিক ব্যায়াম করে নিন কাজের ফাঁকেই। সেই সাথে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন এবং বাসায় ফেরার পথে যতোটা পথ রিকশায় আসতেন তা হেঁটে পার করার চেষ্টা করুন।
৪) দুপুর বা রাতের খাবারে বেশি নজর না দিয়ে সকালের খাবারের দিকে ভালো করে নজর দিন। এতে করে ফিট থাকতে পারবেন এবং সেই সাথে পুরো দিন সতেজ কাটবে।
৫) হাতের কাছে পানি রাখুন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করুন। পানি পান করতে না চাইলে পানীয় কিছু রাখুন। তবে চিনি সমৃদ্ধ পানীয় থেকে দূরে থাকবেন।

৬) ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং করার ভুল করবেন না। আপনার বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন রয়েছে। আপনি নিজেকে ফিট রাখতে অল্প পরিমাণে বারবার খাবার খান।
৭) পিঠ সোজা রেখে বসুন এবং হাঁটাচলা করুন। এতে করে মেরুদণ্ডের সুরক্ষা হবে এবং পিঠ ব্যথার হাত থেকেও রেহাই পাবেন।
৮) হাসিখুশি থাকবেন সব সময়। গবেষণায় দেখা যায় যারা বেশি হাসিখুশি থাকেন তারা অন্যান্যদের তুলনায় কম রোগে ভুগে থাকেন। তাই সমস্যা এবং ব্যস্ততা যতোই হোক না কেন হাসিখুশি থাকুন।

 

সাফিনা পার্কে ঈদত্তোর উপচে পড়া ভীড়
জিনিউজ২৪ ডেস্ক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৪৫ একর জমির উপর গড়ে উঠা সাফিনা পার্কে ঈদত্তোর মানুষের ঢল নেমেছে। এ যেন মানুষের মিলনমেলা। এক সময় উত্তরবঙ্গে রাজশাহী শহর ছেড়ে এসে, উত্তরের মানুষের বিনোদনের কোন জায়গা ছিলনা। সারাদিন অফিসের কাজ, কম্পিউটার-ল্যাপটপ, ব্যবসা-বাণিজ্য, সংসার ইত্যাদির মধ্যেই দিন কাটছিল এখানকার মানুষের। একই জায়গায় একই কাজ সর্বদায় ভাল লাগেনা, একঘিয়েমি মনোভাবের সৃষ্টি হত। আর এ সকল দিক বিবেচনা করে বাসুদেবপুরের মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে চাইনা হাজি গোদাগাড়ী থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্ব কোণে দিগরামের খেজুরতলা নামক স্থানে গড়ে তোলেন সাফিনা পার্ক। এখানে পবিত্র ঈদের দিন থেকে প্রতিদিন প্রায় অর্ধ লাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রাইড থাকায় শিশুদের বিনোদনের জন্য বাড়তি আনন্দ যোগ হয়েছে। তবে শুধু গোদাগাড়ী উপজেলা নয় রাজশাহী বিভাগকে অতিক্রম করে পার্কের মান, সৌন্দয্য ও চেগনাইয়ে মুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসতে দেখা যায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের। যখন সাফিনা পার্ক ছিলনা তখন ছোট্ট একটি জায়গা মিলে গড়ে উঠা সরমংলা ইকোপার্কে লোকজনের ভিড় পরিলতি হত। এখন আগের ন্যয় মানুষের ঢল না থাকলেও ঈদের পর এখানেও বিনোদনমুখী মানুষের কমতি ছিলনা। ইকোপার্কে লেক ও দুই পার্শ্বে বসার জায়গা এবং সুপ্রসস্ত খোলা মাঠ থাকায় সর্বদায় এখানে মানুষের সমাগম ঘটে থাকে। গোদাগাড়ী থেকে আমনুরা যাওয়ার পথের রাস্তাটির দু’ধারে বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ গাছ এবং ধানের তে থাকায় সবুজের সমারহ মানুষের মনকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তোলে। এছাড়াও এবার মেঘলা আকাশ ও মধ্যাহ্নে প্রখর রৌদ্র থাকলেও বিকালের আকাশ খুব সুন্দর থাকায় মানুষের বিনোদন সহ ইচ্ছা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে। সাফিনা পার্কে কর্মরত প্রধান হিসাব রক রবিউল আলম বলেন আমরা যা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি তবে প্রশাসন, সাংবাদিক সহ সর্বস্তরের জনগণের পূর্ণ সহযোগীতা কামনা করছি।

 খুল্লমখুল্লা, চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে

লস অ্যাঞ্জেলেস : একদা তিনি গেয়েছিলেন, ‘আই কিসড আ গার্ল’! বুক বাজিয়ে, বার বার নানা অনুষ্ঠানে! তাও আবার সেই কেটি পেরি, প্রায়ই মুখ বদলে চুমু খাওয়ার জন্য যিনি বিখ্যাত। তা, পুরুষদের কি একেবারেই ভালো লাগে না তার? হবেও বা! না হলে কেটি এবার ছোটখাট চুমু থেকে সরাসরি কেন ঝাঁপ দিতে চাইছেন তার অন্যতম প্রিয় বন্ধু রিহানার বিছানায়? ভাবছেন ব্যাপারটা একটা শস্তা গুজব?মার্কিনি সেনসেশনাল গায়িকা কেটি পেরি খুল্লমখুল্লা জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি সেক্স করতে চান গানের জগতের আরেক মাইলস্টোন, রিহানার সঙ্গে। ভাব যেন অনেকটা এরকম, পুরুষ-মানুষ তো ঢের হলো। তাদের চেনা হয়ে গিয়েছে। আর বর্বর আঁচড়-কামড় ভালো লাগছে না। তার চেয়ে নরম-সরম রিহানাই ভালো!
কেটির চাঞ্চল্যকর এই মন্তব্যে আপাতত মাথায় হাত পুরুষ ভক্তদের। আঁতকে উঠেছেন অনেক মহিলাও-তাদের কাছে যে কেটি আর নিরাপদ নন! তবে সাফ সাফ কথা কেটির; অন্য মেয়ে নয়-প্রিয় সখী রিহানার সঙ্গেই কেবল যৌন খেলায় মত্ত হতে চান তিনি। একথা মার্কিন এক রেডিও স্টেশনে কবুল করেছেন গায়িকা।
রিহানা কেটির সখ্যতার বয়স যদিও খুব বেশি নয়, তবে হলিউডি সিঙ্গারদের মধ্যে এই দুজনেরই ঘনিষ্ঠতা বড় গহন। এ ব্যাপারে সন্দেহও নেই কারও। Wild 94.9 fm কে দেয়া সাম্প্রতিক এক ইন্টারভিউতে কেটি বেশ মজার টোনেই করেন উক্তিটি। প্রশ্ন হলো, খামোখা এরকম কথা বলতে গেলেন কেন তিনি? খ্যাতির বিড়ম্বনা আর কী! আসলে, রেডিও স্টেশনটির ইন্টারভিউতে র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে কেটিকে বেশ কয়েকটা প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানেই রিহানার সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে ভবিষ্যতে কোনও অ্যালবাম তৈরির কথা ভাবছেন কিনা জানতে চাওয়ায়, মুখের ওপর না বলে দেন তিনি। সবাই তো থ! এই না দুজনে সব সময় একে অপরের পাশাপাশি! বোমাটা গায়িকা ফাটান ঠিক এর পর পরই। জানিয়ে দেন, একসঙ্গে অ্যালবাম নাই বা হল; আদর খেলায় ক্ষতি কী?
তা, কেটির এই মন্তব্য কি নেহাতই একটা বদ রসিকতা? কে জানে! না কি তলে তলে খেলার ছকও বিছিয়ে ফেলেছেন তিনি? রেডিও চ্যানেলটির সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরে তার বলার ছিল ‘হাম্প’ অথবা ‘ডাম্প’-সহজ ভাষায় যার মানে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’। সেখানেই রিহানার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড ক্রিস ব্রাউনের নাম ওঠায় চটজলদি কেটি বলেন ‘ডাম্প’। তা, রিহানার জীবন থেকেও কি পুরুষদের কাঁচি করতে চাইছেন কেটি? তার পরেই, দুজনের নিঃসঙ্গতা ভরে উঠবে আদর আর সোহাগে? সূত্র: ওয়েবসাইট।

 যৌনশক্তি বাড়াতে তরমুজ!

  কৃত্রিম পন্থায় যৌনশক্তি বাড়াতে ভায়াগ্রা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। এ নীল ট্যাবলেটটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভায়াগ্রার সন্ধান দিয়েছেন। এ নিরীহ প্রাকৃতিক জিনিসটি আর কিছু নয়, আমাদের অতি পরিচিত তরমুজ। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ভায়াগ্রার মতোই কার্যকর তরমুজ। টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনি-ভার্সিটির গবেষক বিনু পাতিল মিডিয়াকে জানান, নতুন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা যৌনশক্তির দিক থেকে অক্ষম বা দুর্বল, তাদের সক্ষমতার জন্য তরমুজই প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। অর্থাৎ তাদের এখন থেকে আর ভায়াগ্রার পেছনে টাকা না ফেলে তরমুজ বন্দনায় মেতে উঠলেই চলবে। বিনু পাতিল তার সহকর্মীদের নিয়ে গবেষণার পর বিস্ময়করভাবে দেখতে পান, একটি তরমুজে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো এসিডের পরিমাণ এত বেশি, যা আগে বিজ্ঞানীরা ধারণাও করতে পারেননি। কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, সিট্রোলিন সাধারণত ফলের অখাদ্য অংশেই বেশি থাকে। বিনু পাতিল বলেন, তরমুজে সিট্রোলিন আছে, এটা আমাদের জানা কথা। কিন্তু এটা জানতাম না, সিট্রোলিনের পরিমাণ তাতে এত বেশি থাকতে পারে। গবেষকরা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, মানবদেহ সিট্রোলিনকে আর-জিনিনিন নামের যৌগ পদার্থে রূপান্তরিত করে। আরজিনিনিন হচ্ছে ভিন্ন মাত্রার অ্যামাইনো এসিড, যা নাইট্রিক এসিডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। আবার নাইট্রিক এসিড দেহের রক্তবাহী শিরা বা ধমনির প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর রক্তবাহী শিরা বা ধমনির প্রসারণের কারণেই মানুষের বিশেষ অঙ্গটি সক্রিয় হয়। আর ভায়াগ্রাও দেহের নাইট্রিক এসিডকে সক্রিয় করার মাধ্যমে কৃত্রিম পন্থায় দেহে জৈবিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। গবেষক বিনু পাতিল আশা করছেন, তরমুজের ভায়াগ্রা-গুণটি নিয়ে বিশ্বের গবেষকরা এগিয়ে আসবেন। তবে তার এ গবেষণার ফলকে সবাই এক বাক্যে এখনো মেনে নেননি। ‘দি জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন’-এর প্রধান সম্পাদক ইরউয়িন গোল্ডস্টেইন বলেন, বিশেষ অঙ্গের উত্তেজনার জন্য অবশ্যই নাইট্রিক এসিড দরকার। কিন্তু বেশি করে তরমুজ খেলেই তা প্রাকৃতিকভাবেই একই কাজটি করে দেবে, এটা এখনো প্রমাণিত নয়। অবশ্য বিনু পাতিল এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি, জৈবিক তাড়না সৃষ্টি করতে একজন অক্ষম লোককে ঠিক কত পরিমাণ তরমুজ গিলতে হবে।

নারীর যা দেখে বেশি আকৃষ্ট হয় পুরুষ…

ডেস্ক : বলা হয়ে থাকে, পুরুষ সৌন্দর্যের পূজারী এবং নারী হলো সৌন্দর্যের আধার। রূপক অর্থে নারীকে তাই কখনো দেবীর সঙ্গে তুলনা করা হয়। পুরুষ যেন সেই দেবীর গুণমুগ্ধ একজন পূজারী।
 নারীর শারীরিক সৌন্দর্য ছাড়াও চেহারা, চুল, কথা কিংবা হাসি যাই বলা হোক না কেন, পুরুষ যেন এসবের গুণমুগ্ধ গুণবিচারী। তবে নারীর সব সৌন্দর্য উপকরণের মধ্যে যে দিকটি পুরুষের মনে জায়গা করে নেয় সহজেই এবং যা সেই মনে বসবাসও করে দীর্ঘদিন, তা হলো নারীর দাঁত।
ম্যাচ ডটকম নামে একটি অনলাইন পত্রিকা তাদের জরিপে এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে। হলিউড কিংবা আর যাই হোক না কেন, সেলিব্রিটি হয়ে কোনো লাল কার্পেটে হাঁটার জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে জরুরি তা হলো, একটি চোখ ধাঁধানো সাদা হাসি। তবে পছন্দের কোনো পুরুষকে নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও মুক্তোর মতো দাঁত অনেক বড় ভূমিকা রাখে। জরিপ শেষে ম্যাচ ডটকম অভিমত দেয়, ‘দাঁত হলো প্রথম জিনিস, কোনো নারীর ক্ষেত্রে পুরুষ যেদিকে প্রথম দৃষ্টি রাখে।’ কোনো পুরুষ তার সঙ্গী নির্বাচনে নারীর কোন্ দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়, তার ওপর ভিত্তি করেই ম্যাচ ডটকম তাদের সর্বশেষ জরিপটি চালায়। আর এই জরিপে ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নারীর দাঁতই এখন প্রধান আকর্ষক হয়ে অবস্থান করছে সবার ওপরে।
একাধারে তিন বছর ধরে চালানো এ জরিপ অনুযায়ী নারীর সৌন্দর্যের ১০টি দিকের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এই তালিকার অর্ধেক জুড়েই নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্য উপকরণ স্থান করে নিয়েছে। তালিকায় এসব উপকরণের মধ্যে দাঁতের পরেই রয়েছে নারীর চুল; যা ভোট পেয়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ। ওরাল-বি স্মাইলের পরিচালক ডাক্তার অচেন্না এই দিকটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘প্রতিদিনের দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন, তারা (দাঁত) আপনাকে এর প্রতিদান দেবে, বাড়িয়ে দেবে আত্মবিশ্বাস, তাই আপনার জমকালো হাসির জন্য আপনি হবেন গর্বিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘হাসি নিয়ে লোকজন আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। আর আমার কাছে যে সব মক্কেল আসে তাদের বেশিরভাগেরই চাওয়া হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর সাদা হাসি।’ এক সমীক্ষায় ওরাল-বি দেখেছে, তাদের কাছে যেসব মক্কেল আসে তাদের মধ্যে প্রতি তিনজনের অন্তত একজন প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করে না। তবে তারা দাবি করেন, যেকোনো সময় থেকেই দাঁতের পরিচর্যা শুরু করা যেতে পারে। তারা শ্যারিল কোল এবং লুইস ওয়ালসের মতো অনেক তারকার নামও টেনে আনেন; যারা সেলিব্রিটি হওয়ার পরই দাঁতের দিকে মনোযোগী হয়েছেন। তাই শুধু বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণের জন্যই নয়, প্রতিদিন দুই বেলা দাঁতের সুরক্ষা নিঃসন্দেহে বাড়িয়ে দেয় মানুষের আত্মবিশ্বাস। তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল

পাত্রীর দাবি একটাই, বর যেন কোলে তুলে নিয়ে আদর করে

ডেস্ক : পাত্রীর দাবি একটাই, “আমার বর যেন আমায় কোলে তুলে নিয়ে আদর করে।” নিজের শর্তের কথা জানিয়ে নিজেই প্রায় অট্টহাস্য করে উঠলেন ‘হেভিওয়েট’ পাত্রী সারান আলেকজান্ডার। পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনের ভাষায়: পাত্রী ৬ ফুট। ওজন ২০৫ কিলো। নামী-দামী ক্রীড়াবিদ। দেশে-বিদেশে ঘোরেন। নাম উঠেছে গিনেস বুকেও। ডিভোর্সি, তিন সন্তানের জননী। সন্ধান করছেন মনের মতো পাত্র। পাত্রের ওজন শ’দেড়েক বা তার কম হলেও চলবে। কিন্তু উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুটের কম হলে চলবে না।
নিজের বিয়ের বিজ্ঞাপনের খসড়া নিজেই বানিয়ে হো হো করে হেসে উঠলেন সারান আলেকজান্ডার। সেই হাসিতে এক দরাজ দিল মহিলার জীবন সংগ্রাম যেমন লুকিয়ে রয়েছে, তেমনই রয়েছে চাপা দুঃখ। তবে তাঁর জীবন দর্শনই হল, ‘নো রিগ্রেট। ওনলি হ্যাপিনেস।” তাই প্রায় পঞ্চাশে পৌঁছেও নতুন করে ঘর বাঁধতে চান বিশ্বের সবচেয়ে ভারি মহিলা ক্রীড়াবিদ, মহিলা সুমোর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
ইংল্যান্ড থেকে দুই মহিলা সুমো কুস্তিগীর এই প্রথম বার অসম তথা ভারতে পা রাখলেন। সারানের সঙ্গী আমান্ডা উইলকক্স। ২০তম অসম শিল্প ও বাণিজ্যমেলার বিশেষ আকর্ষণ তাঁরা। গত বছর, এই মঞ্চেই এসেছিলেন বিশ্বের পয়লা নম্বর সুমো তারকা ব্যায়াম্বাজাভ উল্লামবায়ার ও চতুর্থস্থানে থাকা কেলি নেইটিং।সারান ও আমান্ডার লড়াই। শনিবার গুয়াহাটিতে। ছবি: উজ্জ্বল দেব
আর আজ সন্ধ্যার লড়াইয়ে একে অন্যের সঙ্গে সমানতালে লড়ে গেলেন শেফিল্ডের সারান আর ইয়র্কশায়ারের আমান্ডা। একজনের বয়স ৪৮, অন্যজনের ৪৩। প্রথম জনের তিন সন্তানের বয়স যথাক্রমে ২৯, ২৭ ও ১২। দ্বিতীয়জন ইতিমধ্যেই ঠাকুমা হয়েছেন।
অন্য কোনও খেলায় না গিয়ে, সোজা, জাপানিদের মৌরসীপাট্টায় হানা দেওয়া কেন? সারানের সোজা কথা, “আসলে আমার সব ঢেকে যায় ওজনেই। উচ্চতা ৬ ফুট আর ওজন গড়ে দুশোর আশপাশে থাকে। আপনিই বলুন, আর কোন খেলায় এই ওজন নিয়ে নাম করতে পারতাম?” ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে তিন সন্তানকে মানুষ করার জন্য সুমো কুস্তির অবলম্বনটাকেই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেন ২০০৫ সাল থেকে। পরের বছরেই ২৫ জন কুস্তিগীরকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তাল মিলিয়ে বাড়াতে থাকেন ওজন। তার সৌজন্যেই গত বছর ২০৫ কেজি ওজন-সহ বিশ্বের সবচেয়ে ভারি মহিলা ক্রীড়াবিদের গিনেস রেকর্ড।
“কিন্তু ওজন মানেই ডায়াবেটিস আর হৃদরোগের ষোলো আনা সম্ভাবনা। তাই প্রশিক্ষকের নির্দেশ মেনে ব্যয়াম বাড়াই। খাওয়া কমাই। অনেকটাই রোগা হয়েছি এক বছরে। এখন মাত্র ১৮০ কিলো!” সারান খেতে ভালবাসেন ভেড়া, স্যালাড, কলা। বেশি খান রাতে। গোটা দিনের খোরাকি মোটামুটি ৫ হাজার ক্যালোরি। কুস্তির পাশাপাশি তাঁর পেশা, শুনতে অবাক লাগলেও, বাচ্চা সামলানো। বলাই বাহুল্য, তাঁর চেহারা দেখে বাচ্চারা ভয়েই কাত, দুষ্টুমি করার প্রশ্নই নেই। তাঁর নিজের ছোট ছেলেও ইতিমধ্যে এস্তোনিয়ায় ছোটদের সুমোয় অংশ নিয়েছে।
তাঁর চেয়ে ইঞ্চি কয়েক বেঁটে, ১২৮ কিলো ওজনের আমান্ডা ডিস্কো ঠেকের বাউন্সার। পেশায় ও আকারে দৈত্যাকার হলেও তাঁর দিনের অবসর সময়টা কিন্তু নাতির সঙ্গে পুতুল খেলেই কেটে যায়। বড় খাওয়াদাওয়ার পালা সারেন দুপুরেই। জাপানিদের নিজস্ব এই কুস্তির প্যাঁচ শিখতে গত বছর জাপানে ছিলেন সারান। সুমোর দেবতা ইয়োকোজুনাকে দেখার মুগ্ধতা কাটেনি এখনও। তবে বেড়াতে গিয়ে তাঁর বড় সমস্যা, বিমানের ‘ইকনমি’ আসনে তিনি মোটেই আঁটেন না। ১৪ ফেব্রুয়ারি অবধি অসমে কাটিয়ে পরের লক্ষ্য, জার্মানি। মার্চ থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।
ভারতে প্রথমবার পা দিয়ে, বিমানবন্দর থেকে গুয়াহাটি অবধি রাস্তার দুই পাশে তাঁর দৈত্যাকার হোর্ডিং দেখে দিলখুশ হয়ে গিয়েছে। সারান মজা করে বলেন, ‘কাজিরাঙা যাওয়ার সুযোগ পেলে ভাল হত। হয়ত উদ্যোক্তারা ভয় পাবেন আমায় নিয়ে যেতে। আমি কিন্তু, হাতিতে চেপেছি আগে। উটের পিঠেও উঠেছি। হাতি-উট দুটিই কিন্তু এখনও সুস্থ।”
মণিরাম দেওয়ান ট্রেড সেন্টারে প্রথম দিনের লড়াই শেষ। দর্শকদের মনোরঞ্জন করা বিরাট কালো শরীরটা এ বার বিশ্রাম চায়। শেষবেলায় হাত নেড়ে বলে গেলেন, “পাত্র দেখতে থাকুন। এই দেশে হলেও চলবে। মনে রাখবেন, আমি বৃহদাকার হতে পারি, কদাকার নই। বিগ ইজ বিউটিফুল।”  ফিরেযান

হেব্বি লাগছে, যাকে বলে ফাটাফাটি

হেব্বি লাগছে। যাকে বলে ফাটাফাটি। বছর শেষে শীতের উষ্ণতায় ২৩ তরুণীর ধর্ষণ। মৃত্যুর সঙ্গে ফিফটি-ফিফটি ম্যাচ। ২০-২০ উত্তেজনা। হেব্বি লাগছে… শিলিগুড়ি, কাটোয়া, দিল্লি, পাটনা, রাজস্থান… ট্রেনে ধর্ষণ, চলন্ত বাসে ধর্ষণ। জওয়ানি জিন্দাবাদ। হেব্বি লাগছে…ধর্ষণ সিরিজে একের পর এক মাইন্ড ব্লোয়িং কনসেপ্ট। নুন শো বা নীল ছবির হাতছানিকে সপাটে থাপ্পড় মারছেন ক্রিয়েটিভ ধর্ষকরা। কনটেন্টের সঙ্গে ফর্ম নিয়েও চোখধাঁধানো এক্সপেরিমেন্ট। হেব্বি লাগছে..।
বছর শেষে একেবারে রগরগে উত্তেজনা। এরমধ্যেই বাংলায় নব্যযুগের নবনায়কের আর্বিভাব। একেবারে আজ কি অর্জুন। একতিরিশে ডিসেম্বরের শরীর হিট করা রাত। দোঘোটের কেরামতিতে মঞ্চে আমরা সবাই রাজা। তিনি মঞ্চে এলেন। পাশে এলি বেলি-দোলানো চেড়ি ড্যান্স। দাদা নাচছেন। ভাই নাচছেন। খইয়ের মতো উড়ছে টাকা। হেব্বি লাগছে তো? দাদার প্রশ্ন। প্রতিষ্ঠাতা দিবস বলে কথা। বীরের এ রক্ত স্রোত মাতার এ অশ্রুধারা তাতে কী চোনা দেওয়া যায়। কত স্বপ্নের বিনিময়ে এই ইজ্জতের পরিবর্তন। বছর শেষে তাঁর স্মরণে যদি একটু ট্যাঙ্গো ড্যান্স না হয় তাইলে চলে। ফুলটুস মস্তি চাই। শহীদ দিবসে পাগলু ড্যান্স দিয়ে বীর সেনানিদের শ্রদ্ধার্ঘ। পথ দেখিয়েছেন দিদি। সেই পথেই তো চলেছে ভাইয়েরা। আপনারা না বড় ইয়ে আছেন। কথায় কথায় সিল্প, সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মানে আমাদের সংস্কিতির জেঠুরা। আরে সংস্কিতি কী শুধু তোমরাই বোঝ? আসলে হিংসা। মনে শখ ষোল আনা, বুকে শুধু লাজ। এস ভাই ময়দানে নাম। দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে। এতো কবিগুরুই বলে গেছেন। তবে আর লজ্জা কী। তার সঙ্গে তিনি এও বলেছেন যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো। তাই আমরা চলি সমুখ পানে। কে আমাদের রুখবে ভাই। হেব্বি লাগছে…
বস্তি পুড়ে ছাই। ফ্যাকাসে শহর। তবু নীল রঙ হাসছে ব্রিজের গায়ে। শহরের দেওয়ালে। দেখলেই মনে আসে নীলে নীলে অম্বর পর.. হেব্বি লাগছে।
পেনশন বন্ধ। কৃষকের আত্মহত্যা। সারের দাম বেড়েছে। গাঁইয়া চাষির সুরাহা চেয়ে সোজা শ্রীঘর দর্শন… হেব্বি লাগছে…
আরও অনেক অনেক হেব্বি অপেক্ষা করছে। নতুন বছরের চিকনা চমক। অপেক্ষা করুন। দেখতে পাবেন। শুধু বলতে হবে হেব্বি লাগছে। তাতেই দিল খুশ। মাইরি বলছি হেব্বি লাগছে। ফিরেযান

No comments:

Post a Comment